• অর্থনীতি

আজ নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক

  • অর্থনীতি
  • ১৮ জুন, ২০২৩ ১১:৩১:০০

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস, অর্থাৎ জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাসের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রোববার (১৮ জুন) বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বোর্ড সভায় নতুন মুদ্রানীতি নীতিগত ভাবে অনুমোদন হয়। এবারের মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে বেশি জোর দেওয়া হবে বলে জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

এমন সময়ে নতুন মুদ্রানীতি আসছে যখন দেশের মূল্যস্ফীতি প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি। এবারের নতুন মুদ্রানীতিতে জানা যাবে, ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়া-কমা, বাজারে টাকার সরবরাহ কেমন থাকবে বা ডলার-সংকট কাটাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নীতি সুদহার বাড়ানো, ৯ শতাংশ সুদহারের সীমা তুলে দিয়ে নতুন ব্যবস্থা চালু, অভিন্ন ধরে ডলার বিক্রিসহ কিছু ঘোষণা থাকছে বলে জানা যায়।

জানা গেছে, মুদ্রানীতির কাঠামোতে পরিবর্তন এনে এবার ‘সুদহার টার্গেটিং’ মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। বিশ্বব্যাপী বর্তমানে চার ধরনের লক্ষ্যমাত্রাভিত্তিক মুদ্রানীতি প্রচলিত আছে। সুদহার, মূল্যস্ফীতি, মুদ্রা সরবরাহ এবং বিনিময় হার টার্গেটিং। বাংলাদেশ ব্যাংক এতদিন ‘মূল্যস্ফীতি টার্গেটিং’ মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে আসছিল। তবে আইএমএফের পরামর্শে এবার ‘সুদহার টার্গেটিং’ মুদ্রানীতি দেওয়া হবে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মুদ্রানীতির মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। যদিও দেশের অর্থনৈতিক নীতিকে সমর্থন দিয়ে তৈরি করা হয় মুদ্রানীতি। বিনিয়োগ বৃদ্ধি-কর্মসংস্থান বাড়াতে বেসরকারি খাতে বিশেষ করে এসএমইতে ঋণ প্রবাহ বাড়ানোর তাগিদ তাদের।

গত ২ জুন বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছিলেন, বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ), প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স), বিনিয়োগ, মূল্যস্ফীতি ইত্যাদি বিষয়ে নতুন মুদ্রানীতিতে পদক্ষেপ থাকবে।

বর্তমান গভর্নর যোগদানের পর এটি হবে দ্বিতীয় মুদ্রানীতি। আগের গভর্নর ফজলে কবির ২০১৬ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বছরে একবার মুদ্রানীতি ঘোষণা শুরু হয়। তবে আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্তের কারণে এখন আবার দু’বার হচ্ছে।

আজকের অনুষ্ঠানে চার ডেপুটি গভর্নর, বিএফআইইউর প্রধান, প্রধান অর্থনীতিবিদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

মুদ্রানীতি কী?

বাজারে মুদ্রা সরবরাহবিষয়ক নীতিই মুদ্রানীতি। বাজারে অর্থের প্রবাহ বাড়াতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার (যে সুদহারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ঋণ দেয়) কমিয়ে দেয়। এতে টাকা সস্তা হয়, ঋণ বাড়ে, মানুষের হাতে বাড়তি টাকা আসে। আবার বাজারে অর্থের সরবরাহ কমাতে চাইলে নীতি সুদহার বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মুদ্রানীতি বা মুদ্রা ব্যবস্থাপনার অন্যতম লক্ষ্য থাকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও প্রবৃদ্ধি অর্জন। আগামী অর্থবছরের বাজেটে সরকার মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশ এবং সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনের চেয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে জোর দেবে। আর এ জন্য ৯ শতাংশ সুদহারের সীমা তুলে দিয়ে নতুন ব্যবস্থা চালু হতে যাচ্ছে। নতুন ব্যবস্থায় গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ সুদহার ১০ শতাংশের আশপাশে থাকবে। যদিও এটিকে বাজারভিত্তিক ব্যবস্থা বলা হবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo