• অপরাধ ও দুর্নীতি

টেকনাফে ২ কেজি আইসসহ আটক ৪

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ০৬ জুন, ২০২৩ ১৫:৪৯:০৬

ছবিঃ সিএনআই

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ  টেকনাফ ব্যাটলিয়নের ২ বিজিবি সদস্যরা  অভিযান চালিয়ে ২ কেজি ১১৭ গ্রাম আইস , ৪০০ বস্তা সিমেন্টসহ  ইঞ্জিন বোট উদ্ধার করেছে। এসময় রোহিঙ্গাসহ চার জনকে আটক করা হয়। এরা হচ্ছে উখিয়া কুতুবপালং ২ নং রোহিঙ্গা (এফডিএমএন) ক্যাম্পের এ/১ ব্লকের ১৫ নং বাসার  আব্দুদ এর ছেলে মোঃ জুবায়ের (৩০), টেকনাফ পৌরসভা ৭ নং ওয়ার্ড জালিয়াপাড়া মোঃ কামাল হোসেনের ছেলে (২) মোঃ সাদেক হোসেন (২৯), সেন্টমার্টিন ইউনিয়নর ৭ নং ওয়ার্ড কোনাপাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে মোঃ হামিদুর রহমান (১৯) ও  মোঃ বাবুলের ছেলে মোঃ ইমরান (১৯)।

৪ জুন রবিবার দিবাগত রাতে টেকনাফের দমদমিয়া জালিয়ার দ্বীপ নাফ নদী পয়েন্টে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)  অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ( বিজিবিএমএস)। তিনি জানান  গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, ৪ জুন  রাতে টেকনাফ দমদমিয়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৮ হতে আনুমানিক ১.৫ কিঃ মিঃ উত্তর-পূর্ব দিকে জালিয়ারদ্বীপ এলাকা দিয়ে বোটযোগে মাদকদ্রব্য পাচার হতে পারে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন সদর এবং দমদমিয়া বিওপি হতে দুইটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল ওই এলাকায়  কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে।

টহলদল আনুমানিক রাত সাড়ে ৮ টার সময় জালিয়ারদ্বীপের উত্তর দিকে দমদমিয়া এবং হ্নীলা বিওপির মধ্যবর্তী স্থানে সন্দেহভাজন একটি ইঞ্জিন চালিত কাঠের বোট দেখতে পায়। টহলদলের সন্দেহ হওয়ায় উক্ত বোটকে তল্লাশির জন্য থামানো হয়। পরবর্তীতে উক্ত বোটের আরোহী  একজন মিয়ানমারের ও তিনজন বাংলাদেশী নাগরিককে তল্লাশী এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তল্লাশীর এক পর্যায়ে উক্ত  ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তিতে বোটে থাকা সিমেন্টের বস্তার নীচ হতে ২.১১৭ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস) পাওয়া যায় । 

এসময় অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য বহণের দায়ে বর্ণিত বোট এবং বোটে থাকা ৪০০ বস্তা সিমেন্টও জব্দ করা হয়। 

জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান যে, উক্ত ইঞ্জিন চালিত বোটটি তিনজন বাংলাদেশী নাগরিক (মাঝি) সহ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে সেন্টমার্টিন থেকে ভাড়া করে টেকনাফ স্থল বন্দরে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আরোও জানা যায় আকটকৃত মিয়ানমার নাগরিক মাদকসহ মিয়ানমার থেকে লালদ্বীপ হয়ে টেকনাফ বন্দরে আসে। উক্ত মিয়ানমার নাগরিক টেকনাফ স্থল বন্দর হতে প্রায় ৪০০ বস্তা সিমেন্ট বোটে লোড করে এবং সিমেন্টের বস্তার নীচে মাদকদ্রব্য লুকিয়ে রাখে।

উল্লেখ্য, উক্ত মাদকদ্রব্য হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করে এবং সিমেন্ট নিয়ে মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল বলে জানা যায়। আটক 

মিয়ানমার নাগরিক জুবায়ের রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী  নবী হোসেন গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। তার কাছে একটি ইউনিফর্মের ক্যাপ পাওয়া যায় যা  সন্ত্রাসী  নবী হোসেন গ্রুপের ইউনিফর্মের ক্যাপ।  উক্ত সিমেন্ট এর মালিকও  নবী হোসেন।

টেকনাফ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের বরাতে ২ বিজিবি অধিনায়ক  লেঃ কর্ণেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ জানান,  টেকনাফ স্থল বন্দরে মিয়ানমার থেকে বড় কার্গো বোটের মাধ্যমে যে সকল পণ্য আমদানি করা হয়, সে সকল পণ্য বন্দরে খালাস করার পর পূনরায় উক্ত কার্গো বোটের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে পণ্য রপ্তানি করা হয়। কিন্তু টেকনাফ বন্দর থেকে বাংলাদেশী বোটে করে কোন পণ্য মায়ানমারে রপ্তানি করা হয় না। এছাড়া রাতের অন্ধকারে বন্দর থেকে ইঞ্জিন চালিত কাঠের বোটটি টেকনাফ বন্দরের উত্তর দিকে হোয়াইক্যং এর উদ্দেশ্যে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। "

জব্দকৃত সিমেন্ট এবং কাঠের বোট টেকনাফ শুল্ক গুদামে জমা করা এবং আসামীদের বিরুদ্ধে  নিয়মিত মামলার জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর কায্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo