• সমগ্র বাংলা
  • লিড নিউজ

পৌর কবরাস্থান পরিচালনা করতে চায় নাগরিক কমিটি

  • সমগ্র বাংলা
  • লিড নিউজ
  • ০২ জুন, ২০২৩ ১৯:১৫:৫৪

ছবিঃ সিএনআই

নড়াইল প্রতিনিধি: এখন থেকে পৌর নাগরিক কমিটি কর্র্তৃক নড়াইল পৌর কবরাস্থান পরিচালিত হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। নড়াইল রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ভবনে নাগরিক কমিটি এক সংবাদ সম্মেলনে এসব ঘোষণা দেন। নব গঠিত পৌর নাগরিক কমিটির আহবায়ক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডঃ হেমায়েত উল্লাহ হিরুর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক কাজী ইসমাইল হোসেন লিটন, অ্যাডঃ আব্দুল মুকিত লাভলু, ঠিকাদার রেজাউল আলম প্রমুখ। বক্তারা আরো বলেন, নাগরিকদের আবেগে আঘাত দিয়ে যেভাবে কবরস্থান ভাঙ্গা হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। এছাড়া নড়াইল পৌর কবরাস্থানে পৌরসভার কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। সেজন্য নাগরিক কমিটি কবরাস্থানের উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে কবরাস্থান সাবেক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার সুবিধার্থে কবরবাসীর স্বজনদের কবরের স্থান চিহিৃত করতে নাম ফলক দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

সরেজমিন কবরাস্থানে গিয়ে দেখা গেছে, কবরবাসীর স্বজনরা নিজ নিজ দায়িত্বে কবর সমূহের স্থান চিহিৃত করে নামফলক লাগাচ্ছেন। ইতমধ্যে প্রায় ৩শ নামফলক লাগানো হয়েছে। এদিকে বিষয়টির মিমাংসার জন্য পৌর কাউন্সিলরদের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (১জুন) বিকেলে পৌর মেয়রের কার্যালেয়ে মেয়রের সাথে বসাবসির কথা থাকলেও এ নিউজ লেখা পর্যন্ত নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ বসাবসিতে যাননি। পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল-যশোর সড়কের পাশের্^ শহরের প্রাণকেন্দ্র আলাদাতপুরে ১ একর ৭৩ শতাংশ জায়গার ওপর পৌরসভার এই কবরস্থানটি স্থাপিত। এখানে ২১২টি কবর বাঁধানো এবং আরও শতাধিক বাঁশের চটা দিয়ে সীমানা দেওয়া ছিল।

কোভিড-১৯ প্রকল্পের আওতায় আলাদাতপুর পৌর গোরস্থান সংস্কারের অংশ হিসেবে ২২ মে পাকা সমস্ত কবর বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হলে বর্তমান মেয়র সরাসরিসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হন। ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে উন্নয়নমূলক প্রকল্পে রয়েছে কবরস্থানের মাটি ভরাট, দৃষ্টিনন্দন রাস্তা, লাইটিং এবং সীমানা প্রাচীর (আংশিক) নির্মাণ। নড়াইল পৌর মেয়র আনজুমান আরা বলেন, কবাস্থানের জায়গা নড়াইলের গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের দান করা। হাল রেকর্ড পৌরসভার নামে। খাজনাও পৌরসভা দিয়ে থাকে। এখানে বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই। কবরাস্থানের অধিকাংশ জায়গা বাঁধাইয়ের কারণে দিন দিন ছোট হচ্ছে। কবর দিতে গেলেই মানুষের হাড়গোড় বেরিয়ে আসে। যে অবস্থা তাতে আর কয়েক বছর পর কাওকে কবরস্থ করা কষ্টকর হয়ে যাবে। পৌরবাসীর স্বার্থে উন্নয়নমূলক প্রকল্পটি নিয়মানুযায়ী সবকিছু করা হয়েছে।

ভেঙ্গে ফেলা কবরগুলোর চিহৃ রাখতে প্রয়োজনে ছোট করে ইট-সিমেন্ট দিয়ে নামফলকও করা হবে। এসব বিষয় পৌরবাসীকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখন পানি ঘোলা করা হচ্ছে। এছাড়া নড়াইল পৌরসভার সার্বিক উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্থ করতে কিছু মানুষ আমার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের বিরোধীতা করছে। এসব বিষয় আমি দলীয় নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছি। এর কোনো ফয়সালা না হলে পৌর পরিষদকে নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ বিষয় সম্পর্কে পৌর নাগরিক কমিটির আহবায়ক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডঃ হেমায়েত উল্লাহ বলেন,নাগরিক কমিটির সিদ্ধান্ত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo