• বিশেষ প্রতিবেদন

তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রকল্পের দিকে তাকিয়ে উত্তরাঞ্চলের মানুষ

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ০৬ মে, ২০২৩ ২০:২৬:৪৪

ছবিঃ সিএনআই

রংপুর ব্যুরো: তিস্তার পানিবন্টনে অসমতা, পশ্চিমবঙ্গে নতুন দুই খাল নির্মানে ধরলার আসন্ন পরিনতিকে বিবেচনায় রেখে উত্তরাঞ্চলকে মরুকরণের হাত থেকে রক্ষা, নদী খনন করে নাব্যতা ফেরানো, দুই পাড় বেঁধে বন্যা ও ভাঙনরোধ আর শুষ্ক মৌসুমের জন্য কৃত্রিম জলাধারে পানি সংরক্ষণ, নদীশাসনের মাধ্যমে বিস্তৃত জমি উদ্ধার করে ১৩০ কিলোমিটার অববাহিকায় কৃষি শিল্পবিপ্লবের জন্য উত্তরাঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রকল্প। উত্তরাঞ্চলের কোটি কোটি মানুষ চাতক পাখির মতো  এখন চেয়ে আছে নীতি নির্ধারকদের দিকে। 

আগামী বাজেটে রংপুরের তিস্তা পরিকল্পনার বাস্তবায়নের বরাদ্দ না রাখা হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানালেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার  রহমান। আমার তিনি বলেন যারা পার্লামেন্ট মেম্বার রয়েছেন তারা অবশ্যই রেখে সংসদে নিয়ে আসবেন তিস্তা।তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ ৬ দফা দাবিতে গণ সমাবেশ রংপুরে। শনিবার বিকালে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে তিস্তা বাচাও,নদী বাচাও সংগ্রমা পরিষদের ডাকে অনুষ্ঠিত হয় গণসমাবেশ।এসময় রংপুর বিভাগের ৮ জেলার নদী পাড়ের প্রায় ৫-৬ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।আজকের গণ সমাবেশের সভাপতি নুরুল ইসলাম হক্কানী কর্মসূচি ঘোষণা করেন পহেলা জুন পাঁচ মিনিট স্তব্ধ ঘোষণা।

উদ্বোধক হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা,ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি,ও প্রেসিডিয়ামের সদস্য জাতীয় পাটি,নাজমুল হক প্রধান,সাধারন সম্পাদক বাংলাদেশে জাসদ,শফিয়ার রহমান সাধারন সম্পাদক তিস্তা বাচাও,নদী বাচাও সংগ্রাম পরিষদ,বখতিয়ার হোসেন শিশিরসহ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি ও ১৪ দলের নেতা হাসানুল হক ইন এমপি বলেন-আজকে তিস্তা বাচ্চাও মানুষ বাঁচাও নদী বাঁচাও কৃষক বাঁচাও আন্দোলন গণসমাবেশে উপস্থিত হয়েছি। আমি জানি এ আন্দোলনে তিস্তা মানুষরা জেগে উঠেছে। তার প্রমাণ আজকের এই গণ সমাবেশে।জাগো বাহের কন্ঠে সবাই আছি ভাই থাকবো সবাই।তিনি বলেন তিস্তার মহাপরিকল্পনা বাংলাদেশের টাকায় বাস্তবায়ন হবে।বাংলাদেশের পানি উন্নয়ন বোর্ড তিস্তার নদীগুলোকে শাখা প্রশাখা করে মেরে ফেলার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।তিস্তায় সব সময় পানি লাগে, কিন্তু যখন বন্যা হয় তখন মানুষের কান্নার রোল তিস্তা পারে। একসময়ের তিস্তা এখন উত্তরবঙ্গের অভিশাপ।

এই তিস্তার অভিশপ্ত কে আশীর্বাদে রূপান্তর করতে হবে।তিস্তার দুই পাড়ে বাঁধ তৈরি, নদী খনন চাষাবাদ করবে চাষিরা।বন্যা বেড়িবাধ বাস্তবায়ন মহাপরিকল্পনা। আর এই তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে মাত্র লাগবে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা।সুতরাং তিস্তার মহাপরিকল্পনার বিকল্প নেই।তিস্তার বুকে বাদাম চাষ , আলু চাষ,ভুট্টা চাষ,আর ধান চাষ হবে। একসময় এই নাম ছিল পাগলি নদী আর এই পাগলি থেকে হয়েছে এখন ক্ষ্যাপাতে নদী।আমরা তিস্তা মহ পরিকল্পনা কোনরাজনীতি করবো না আমাদের একটা রাজনীতি মানুষ বাঁচাও তিস্তা বাঁচাও কৃষক বাঁচাও নদী বাঁচাও।

তিনি আরও বলেন,পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী তিস্তার পানি দেওয়া যাবে না জানান।এমনকি তিনি তিস্তা নিয়ে ব্যঙ্গক্তি করলেন। এ কারণেই তিস্তা চুক্তি সম্পাদন হলো না। আর এক বছর নয় দুই বছর নয় ১২ বছর চলে গেছে, তিস্তা চুক্তি সম্পাদন হয়ন। আজকের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন মহা পরিকল্পনা তো বাড়ানোর জন্য কিন্তু আমাদের আস্পোজ কিন্তু সেই মহাপরিকল্পনা আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখল না। আমার আপত্তি যাবত্তি মমতা করেছিল সে আপত্তি বাস্তবায়ন তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে।

আর ১২বছরে তিস্তা খনন ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবের হয়নি।নদী সুখে কাঠ হয়ে গেছে।ফেটে গেছে জমি।আর এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে উত্তরবঙ্গের মানুষ হাসবে, তাদের ন্যায্য দাবি ফিরে পাবে।আর শুকনা মৌসুমে পানি তুলে নেবে আর বর্ষা মৌসুমে পানি ছেড়ে দেবে এটা হতে দেওয়া যাবে না। কিন্তু আজকে আবার নতুন করে ১০০০ একর জমি অধিগ্রহণ করে খাল খনন করবে এটা হতে দেওয়া যাবে না যাবে না।এক সময় বঙ্গবন্ধু এ আন্দোলন করেছিল।

তিস্তা নিয়ে কোন খেলা খেলবে না তিস্তা আমার নদী,তিস্তা রংপুর বিভাগের নদী, তিস্তা এই অঞ্চলের মানুষের নদী,তিস্তা শুকিয়ে যাচ্ছে আর মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হব। তিনজন এমপি এই সমস্যা আছে গণ সমাবেশে আগামী জুন মাসে যে বাজেট ঘোষণা করা হবে এ বাজেটে পরিকল্পনার অর্থ বরাদ্দ রাখতে হবে বাজেটিতে এ দাবি আমরা তুলে ধরব। আমি দাবি নিয়ে বলছি তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিজের টাকায় হবে।তিস্তার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। রংপুরের বাজেটে বৈষম্য দূর করতে হবে। আর সেই বাজেটে তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হব। তিনি আরো বলেন ধানের দাম বৃদ্ধি পেয়ে বারোশো টাকা হয়েছে। আর গত বছর ভুট্টার দাম ছিল ১৪০০ টাকা তা কমে এবার ভুট্টার দাম হয়েছে ৮০০ টাকা। আর এসব ভুট্টার দাম সর্বনিম্ন মূল্য ১৬০০ টাকা করতে হবে। আমি আরো বলছি এ লড়াই সরকারের বিরুদ্ধে নয় রাজ্যের বিরুদ্ধে নয় এ লড়াই জনগণের ন্যায্য দাবির লড়াই তিস্তা মহা পরিকল্পনার কৃষকরা ৪ এ লড়াই তিস্তা ভাঙ্গন ঠেকানোর লড়াই এ লড়াই এ লড়াই তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নের লড়াই। রংপুরের বিভাগের মানুষ জেগে উঠেছে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আর ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে।

ওয়াকাস পার্টির সভাপতি ১৪ দলের নেতা এমপি রাশেদ খান মেনন,বলেন,ভারত-বাংলাদেশের আন্ত:সীমান্ত নদী তিস্তা। ভারতে সিকিম প্রদেশে উৎপত্তি হয়ে পশ্চিমাঞ্চলের জলপাইগুড়ি জেলা দিয়ে নীলফামারীর কালীগঞ্জ সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এই নদীকে কেন্দ্র করে ১৯৭৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ সরকার যথাক্রমে গজলডোবা ও লালমনিরহাটে তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প গড়ে তোলে। ২০১৪ সাল পর্যন্ত গজলডোবা বাঁধ থেকে কিছু পরিমান পানি আসলেও এই সালেই ভারত একতরফাভাবে আন্তর্জাতিক নীতিমালা লঙ্ঘন করে বাংলাদেশকে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করে যাচ্ছে।

রাজনৈতিকভাবে কয়েকদফা তিস্তা চুক্তি নিয়ে কথা হলেও ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আপত্তির মুখে আশার আলো দেখেনি এই চুক্তি। তিস্তা সমস্যার জট যখন খুলছেই না তখন ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাতে বাংলাদেশের জন্য পাওয়া যায় আরো একটি নতুন দুঃসংবাদ। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের আওতায় আরো দুটি খাল খনন করার উদ্যোগ নেয়। ফলে নদী বিশেষজ্ঞদের মতে তিস্তার মতো এবার হুমকিতে পড়বে ধরলা নদীও। অন্যদিকে-২০১৪ সালের আগে বিভিন্ন সময়ে হওয়া বন্যার রেকর্ড থেকে জানা যায়, ১৯৫০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সময়কালে তিস্তা অববাহিকায় মোট ১১টি বন্যা হয়েছে (১৯৫০, ১৯৬৮, ১৯৭৩, ১৯৭৬, ১৯৭৮, ১৯৯৩, ১৯৯৬, ২০০০ এবং ২০০৩ সালে)। অন্যদিকে ২০১৪ সালের পর গত পাঁচ বছরে তিস্তা অববাহিকায় মোট ১০টি বন্যা হয়েছে (২০১৬ সালে দুবার, ২০১৭ সালে দুবার, ২০১৯ সালে একবার, ২০২০ সালে তিনবার এবং ২০২১ সালে তিনবার)।

সব মিলিয়ে তিস্তা এখন উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য কান্নার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবছর বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ২০ হাজার কোটি মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এরমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের  গজল ডোবা থেকে বাঁধের সবকটি খুলে দেয়ায় হয়েছে আকস্মিক বন্যাও।  তিস্তার চরাঞ্চলে কৃষকের স্বপ্ন এখন তিস্তা মহাপরিকল্পনা: গত এক দশক ধরে তিস্তার বুকে বিভিন্ন সময়ের নানা ধরনের ফসলের চাষ করে আসেন তিস্তার পার্শ্ববর্তী চরাঞ্চলের চাষিরা। আলু, ভুট্টা, মিষ্টি কুমড়া, কাঁচা মরিচ, পেয়াজ, রসুন, মিষ্টি আলু, বাদাম তামাক চাষ করে লাভবান হচ্ছেন তারা। শুকনো মৌসুমী চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করলেও বন্যার সময় বেশিরভাগ মানুষের হাতে কাজ থাকে না। 

তিস্তা মহা পরিকল্পনার ফলে তিস্তার দু কুলে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে গড়ে উঠবে কৃষিভিত্তিক শিল্প কারখানা। ফলে বন্যার সময়ও কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে বলে মনে করছেন চরাঞ্চলের মানুষ।  তিস্তা মহাপরিকল্পনার স্থান:লালমনিরহাট জেলার তিস্তা ব্যারেজ থেকে শুরু করে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুরের ব্রহ্মপূত্রের সংযোগস্থল পর্যন্ত তিস্তা মহাপরিকল্পনার ছক আঁকা হয়েছে। রংপুর বিভাগের মোট ৫ জেলাকে নিয়ে গড়ে উঠেছে তিস্তা মহাপরিকল্পনা। লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা, পাটগ্রাম,আতিদমারি, কালিগঞ্জ সদর উপজেলা, নীলফামারীর জলঢাকা, ডিমলা উপজেলা, রংপুরের গংগাচড়া, পীরগাছা, কাউনিয়া, কুড়িগ্রামের রাজারহাট, চিলমারী, উলিপুর ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পর্যন্ত বিস্তৃত। 

তিস্তা মহাপরিকল্পনার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য:চীনা মহাপরিকল্পনায় থাকছে- শিল্পকারখানা, নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন, স্যাটেলাইট শহর, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, নদীর দুই ধারে মেরিন ড্রাইভ নৌবন্দর। নদী খনন করে নাব্যতা ফেরানো, দুই পাড় বেঁধে বন্যা ও ভাঙনরোধ আর শুষ্ক মৌসুমের জন্য কৃত্রিম জলাধারে পানি সংরক্ষণই শুধু নয়, নদীশাসনের মাধ্যমে বিস্তৃত জমি উদ্ধার করে ১৩০ কিলোমিটার অববাহিকা জুড়ে গড়ে উঠবে কৃষিভিত্তিক শিল্পকারখানা। পশ্চিমবঙ্গে নতুন দুটি খাল বনাম উত্তরাঞ্চলের মরুকরণ: ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের তথ্যমতে, ভারতের তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের আওতায় আরও দুটি খাল খননে প্রায় ১ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ বিভাগ।

পরিকল্পনা অনুযায়ী তিস্তা ও জলঢাকা থেকে পানি সরাতে কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্ধা পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ খাল খনন করা হবে। একইসঙ্গে তিস্তার বাম তীরে ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আরেকটি খাল খনন করা হবে।

তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন,তিস্তা নদীতে পানি না থাকায় উত্তরাঞ্চলের পানির লেয়ার নিচে নেমে গেছে। আজকের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন তিনি। তিনি আরো বলেন এরমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের আরো দুটি খাল নির্মাণ হলে ধরলাতেও পানি থাকবে না। উত্তরাঞ্চল তখন মরুকরণে পরিনত হবে। বৈশ্বিক উষ্ণয়ন বৃদ্ধি পাওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় সাগরের লোনাপানি ঢুকে পড়ছে, ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। একারণে উত্তরাঞ্চলকে মরুকরণের হাত থেকে বাঁচাতে এখনই এগিয়ে আসতে হবে। নয়তো দেশের কৃষি সুরক্ষা বলয় ধ্বংস হয়ে যাবে। এজন্য তিস্তা মহাপরিকল্পনা একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। প্রতিবছর উজান থেকে তিস্তায় আসে ২ কোটি টনের বেশি পলি।

১৭৮৭ সালের ২৭ আগস্ট সর্বনাশা তিস্তা নদী যখন গতিপথ পরিবর্তন করে তখন মহা প্রলয় ঘটেছিল এই বৃহত্তর রংপুরে।পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর উজান থেকে ২ কোটি টনের বেশি পলি নদীতে প্রবেশ করায় পানির স্তর কমে যাচ্ছে। এই পলি ব্যারেজের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ডালিয়া থেকে রংপুরের কাউনিয়া পর্যন্ত প্রায় ৬৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে জেগে উঠেছে বিশাল চর। ক্রমাগত পলি পড়ার কারণে নদীর নিম্নাংশ ভরাট হয়ে নদীর পেট উচু হয়ে যাচ্ছে। মূল স্রোত থেকে সরে নদীর দুদিক দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে  বর্ষা মৌসুমে পানি নিস্কাষণ হতে না পেরে বিস্তৃত এলাকায় বন্যার সৃষ্টি হচ্ছে।   

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo