• অর্থনীতি

ডোমারে প্রনোদনার পেঁয়াজ চাষে ক্ষতি কৃষকদের

  • অর্থনীতি
  • ০১ এপ্রিল, ২০২৩ ১৬:৩৩:২১

ছবিঃ সিএনআই

মামুনার রশিদ মিঠু, নীলফামারী: নীলফামারীর ডোমারে ২০২২-২৩ ইং অর্থবছরের প্রনোদনার গ্রীষ্মকালিন পেঁয়াজ বীজ নিম্নমানের  হওয়ায় কপাল পুড়েছে উপজেলার বেশিরভাগ কৃষকের। উপজেলার  ৯০ জন কৃষক চলতি মৌসুমে অধিক লাভের আশায় অন্য ফসল বাদ দিয়ে কৃষি অফিসের উৎসাহে গ্রীষ্মকালিন পেয়াঁজ চাষ করেন। কিন্তু ৫ মাস অতিবাহিত হলেও পেয়াঁজ গাছে ফল না আসায় কৃষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পরেছে। এ বিষয়ে কৃষকরা কৃষি বিভাগকে বিষয়টি অবগত করলেও কৃষি বিভাগ থেকে শুধু তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে চাষীদের অভিযোগ  নিম্নমানের বীজ প্রদান ও ফেলানোর পর থেকে বিএসরা ঠিকমত তদারকি না করায় এই ক্ষতি হয়েছে তাদের।   

পাঙ্গাঁমটুকপুর ইউনিয়নের দক্ষিন মটুকপুর গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ড়ের প্রনোদনার সুবিধাভোগী পেঁয়াজ চাষী মনোয়ার হোসেন বলেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের কথায় আমি ২৫ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজ চাষ করি। কৃষি অফিস থেকে আমাকে নাসিক-৫৩ পেয়াঁজবীজ ও বিকাশের মাধ্যমে ২ হাজার ৮শত টাকা প্রদান করে। আমি তাদের পরামর্শে বীজ বোপনের পর থেকেই জমিতে সার, স্প্রে ও নিরানি করতে থাকি। কিছুদিনের মধ্যেই পেয়াঁজ গাছ বড় হয়ে যায়। তবে গাছ বড় হলেও হয়নি পেঁয়াজ। এ বিষয়ে আমি কৃষি অফিসকে বিষয়টি অবগত করলেও তাদের কিছু করার নাই বলে জানান। তারা আরো বলেন এ বীজ আমাদের নয়, বিএডিসি দিয়েছে আমরা বিতরণ করেছি। পেয়াঁজ ঘরে তুলতে না পারায় আমার ২৫ হাজার টাকার মত ক্ষতি হয়েছে। 

সদর ইউনিয়নের বড়রাউতা চিলাই দো-সিমানা এলাকার পেঁয়াজ চাষী তৌহিদুল ইসলাম জানান, আমাকে দুইবার বীজ দেওয়া হয়েছে। দুই বারেই আমার কোন ফল ধরেনি। গাছ বড় হলেও মাটির তলে কোন ফল নেই। এর আগেরবার পেঁয়াজ চাষ করে প্রায় ৪০ হাজার টাকা আয় করলেও এবার আমার ক্ষতি হয়েছে ২০ হাজার টাকার মত। তিনি আরো বলেন, নিম্নমানের  ভারতীয় বীজ সরবরাহ করায় এমন ঘটনা ঘটেছে।

একই কথা বলেন পেয়াঁজ চাষী দুলাল হোসেন। তিনি বলেন আমার গাছ হলেও কোন ফল আসেনি। কৃষি অফিসকে জানালে তারা বলেন, ফল না হলে আমাদের কি করার। নিম্নমানের  বীজ সরবরাহ করার ফলে গাছে ফল আসেনি বলে তিনি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে কৃষি কর্মকর্তার অফিসে দুইদিন যেয়েও কৃষি কর্মকর্তা আনিছুজ্জামান না থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। তার এই মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলেও রিসিভ করেন নি। পরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা বকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি এই বিষয়ে কোন তথ্য দিতে পারবেন না বলে জানান। উপজেলার তথ্য কর্মকর্তা কে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কৃষি অফিসার নিজেই তথ্য কর্মকর্তা। তিনিই আপনাদের তথ্য দিবেন বলে জানান । তবে কৃষি বিভাগের উচ্চমান সহকারী সেলিম আকতার জানিয়েছেন চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৯০ জন চাষীকে পেয়াঁজের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo