বিয়ের প্রথম বছরে পুরুষের যে ৫ দায়িত্ব পালন কাজ করা জরুরি

ছবিঃ সংগৃহীত

লাইফস্টাইল ডেস্ক: বিয়ে মানে একটি নতুন জীবনের সূচনা। নতুন অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়। একটি দিনের ব্যবধানেই বদলে যায় জীবনের সময়সূচি। নতুন একজন মানুষের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে হয় সুখ, দুঃখ, আবেগ, অনুভূতির সবটুকু। বিয়ের পরে পুরুষেরা ভালোবাসা সমুদ্রে ভেসে বেড়াতে গিয়ে ভুলে থাকেন কিছু জরুরি বিষয়। কিছু কাজ আছে যেগুলো বিয়ের প্রথম বছরে পুরুষের জন্য জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক- বিয়ের পরে দুজনের জীবনে দুজনে অভ্যস্ত হতে কিছুটা সময় লেগে যায়। যেহেতু আপনার স্ত্রী তার পরিচিত পরিবার এবং পরিবেশ ছেড়ে আপনার কাছে চলে এসেছেন, তাই তাকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার কাজটি আপনাকেই করতে হবে।

কাছাকাছি থাকলে পরস্পরকে জানা সহজ হবে। যত বেশি সময় একসঙ্গে কাটাবেন, তত বেশি ভালোবাসা বাড়ার সম্ভাবনা থাকবে। বেশি কিছু না, কেবল একটুখানি সময় দিলেই স্ত্রী খুশি থাকবেন। স্ত্রীকে ভালোবাসলে তা মুখ ফুটে বলতে চান না অনেক পুরুষ। কোথায় যেন আটকে যায়। এদিকে স্বামীর মুখ থেকে ভালোবাসার কথা শোনার জন্য স্ত্রী সব সময় মুখিয়ে থাকে। যখন শুনতে না পান তখন মনে জমা হয় হতাশা। তারা স্বামীর মনের খবর বুঝতে পারেন না। এর ফলে সম্পর্ক অনেক সময় খারাপও হতে পারে। তাই  প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে তাকে একবার করে জানান দিন যে আপনি তাকে ভালোবাসেন।দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার জন্য প্রথম বছরটা বেশ জরুরি।

কারণ এই সময়ে যেভাবে গড়ে তুলবেন, সম্পর্কটি সেভাবেই আগাবে। তাই সম্পর্কে ঘনিষ্ঠতা ধরে রাখুন। শারীরিক ও মানসিক ঘনিষ্ঠতা স্বামী-স্ত্রীর জন্য জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, শারীরিক ঘনিষ্ঠতার সময় মস্তিষ্কে ফিল গুড হরমোন বের হয়। এর ফলে সম্পর্ক মজবুত হয়।বিয়ের প্রথম বছরে দুজন দুজনকে সময় দিন। দুজনে যেসব জায়গায় ঘুরতে পছন্দ করেন সেসব জায়গায় যেতে পারেন। পাহাড়, সমুদ্র যেখানে ভালোলাগে চলে যান। কারণ পরবর্তীতে ব্যস্ততা আরও বেড়ে যাবে। তাই সম্পর্কে ঘনিষ্ঠতা ধরে রাখতে এবং একঘেয়েমি কাটাতে দুজন মিলে দূরে কোথাও থেকে ঘুরে আসা জরুরি।স্ত্রীকে আপনার পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য সাহায্য করতে হবে আপনাকেই। কারণ তিনি নতুন একটি পরিবারে এসেছেন। এখানে অনেককিছুই তার অচেনা। তাই আপনার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাকে মিলেমিশে চলতে সাহায্য করুন। বিয়ের প্রথম বছরে এই কাজটি করতে পারলে পরবর্তীতে সুখে জীবন কাটানো সহজ হবে।