• সমগ্র বাংলা

পাবনায় অনন্য সমাজ কল্যাণ সংস্থাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে: নির্বাহী পরিচালক

  • সমগ্র বাংলা
  • ২০ মার্চ, ২০২৩ ১৮:২৩:১০

ছবিঃ সিএনআই

তোফাজ্জল হোসেন বাবু,পাবনাঃ সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে পাবনার ‘অনন্য সমাজ কল্যাণ সংস্থা’ কে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ সঠিক নয় বলে দাবী করেছেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বরনা খাতুন। তিনি বলেন, সংস্থাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। একটি পক্ষ অনন্য সমাজ কল্যাণ সংস্থাকে বন্ধ করতে নানা অপচেষ্টায় লিপ্ত। সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবী করেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নির্বাহী পরিচালক বরনা খাতুন বলেন, সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে অনন্য সমাজ কল্যাণ সংস্থার বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। সেই প্রতিবেদনে যে সকল তথ্য ও উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন।

যাদের বক্তব্য ওই প্রতিবেদনে প্রচার করা হয়েছে তাদের মধ্যে লিয়াকত আলী, মতিউর রহমান, টিপু বিশ্বাস ও তুরানী সুলতানা অনন্য সমাজ কল্যাণ সংস্থা থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দায়িত্বে থাকাবস্থায় অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। সংস্থার বিধি মোতাবেক বরখাস্তসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যা আদালতে বিচারাধীন।বরনা খাতুন বলেন, বিচারাধীন কোন মামলা বিচারের রায় হওয়ার পূর্বে কোন মন্তব্য করা বা সেটা নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা সমীচিন নয়। এটি আদালত অবমাননার সামিল বলে মনে করছে সংস্থা। প্রতিবেদনে বক্তব্য প্রদানকারী লিয়াতক আলী, মতিউর রহমান, টিপু বিশ্বাস ও তুরানী সুলতানার বিরুদ্ধে অডিট ফার্ম দ্বারা নীরিক্ষা প্রতিবেদনে ২৭ কোটি টাকার অর্থ আত্মসাৎ এর প্রমান মিলেছে। তাদের বিরুদ্ধে চলমান মামলাকে প্রভাবিত করার জন্য এই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে আমরা মনে করছি।

তিনি বলেন, মিথ্যা তথ্য ও উপাত্ত দিয়ে এই সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে একটি স্বনামধন্য জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করা হয়েছে। যা উদ্দেশ্যমূলক। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালকের মোবাইল ফোন চুরি করে তার ব্যক্তিগত ছবি ওই প্রতিবেদনে ব্যবহার করা হয়েছে। যা মানহানীকর। টেলিভিশনের ওই প্রতিবেদনে সংস্থার কোন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কর্তৃপক্ষের কোন ধরণের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়নি। এমনকি তাদের সাথে সংবাদ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনরূপ যোগাযোগ করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, সংস্থার তৎকালীন নির্বাহী পরিচালক মাহফুজ আলী কাদেরী ২০১৫ সালে তার পদ ছেড়ে দেন। অথচ ওই প্রতিবেদনে সাবেক নির্বাহী পরিচালকের বিরুদ্ধে নানা আর্থিক অনিয়মসহ মনগড়া অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়েছে। যা মোটেও সঠিক নয়।সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান মো. বদরুজ্জামান মিয়া, সহকারী পরিচালক সেলিম আহমেদ, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার পলাশ চন্দ্র পাল, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার (আইটি হেড) সজীবুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo