• কূটনৈতিক সংবাদ

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের সম্ভাবনা সীমাহীন: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন

  • কূটনৈতিক সংবাদ
  • ০৭ মার্চ, ২০২৩ ১১:৫৬:৪৬

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ চীন ও বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সহযোগিতার অংশীদার উল্লেখ করে দুই দেশের সম্পর্কের সম্ভাবনা সীমাহীন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।   সোমবার (৬ মার্চ) এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকার চীনা দূতাবাসে বাংলাদেশে চীনের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সম্মানে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  

অনুষ্ঠানে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে চীনের ১৬ তম রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের এবং সৌভাগ্যের বিষয়। দুই মাস আগে ঢাকায় আসার পর থেকে সর্বস্তরের বন্ধুদের সঙ্গে গভীর ও আনন্দদায়ক যোগাযোগ হয়েছে। সেখানে চীনের প্রতি তাদের আন্তরিকতা ও ভালোবাসা অনুভব করেছি। সেইসঙ্গে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বিনিময় ও সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য তাদের আগ্রহী আকাঙ্ক্ষাও অনুভব করেছি।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীন ও বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সহযোগিতার অংশীদার। চীন ও বাংলাদেশ উভয়ই বিপুল জনসংখ্যার উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের মধ্যে কোনো অমীমাংসিত বিরোধ বা ঐতিহাসিক বোঝা নেই। ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে দুই দেশের জনগণ স্বাভাবিক ঘনিষ্ঠতা এবং একই ধরনের ধারণা ও মূল্যবোধ উপভোগ করে।

তিনি বলেন, পঞ্চাশের দশকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুইবার চীন সফর করেন। তিনি চীন দেখে খুব মুগ্ধ হয়েছিলেন।  'আমার দেখা নয়া চীন' শিরোনামে একটি ভ্রমণকাহিনীও লিখেছিলেন। সেখানের চীনের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসার কথা বলা হয়েছে।

চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের সম্ভাবনা সীমাহীন উল্লেখ করে  রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন,  চীন সর্বক্ষেত্রে একটি আধুনিক সমাজতান্ত্রিক দেশের দিকে  নতুন যাত্রা শুরু করেছে। একই সময়ে  বাংলাদেশ সোনার বাংলার লক্ষ্যে 'রূপকল্প ২০৪১'   প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উভয় দেশেরই একই লক্ষ্য এবং একই দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একে অপরকে বোঝা, বিশ্বাস এবং সমর্থনে একটি ভালো উদাহরণ তৈরি করবে।

কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত তিন বছর ছিল আমাদের সবার জন্য কঠিন। যাইহোক, আমরা টানেলের শেষে আলো দেখতে পাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের জন্য ইয়াওকে অভিনন্দন জানান। তারা নতুন যুগে চীনের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্বের প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে সেনা প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) শাব্বির আহমদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ সরকার, সেনাবাহিনী, রাজনৈতিক দল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, মিডিয়া, ঢাকায় বিদেশি মিশন ও  স্থানীয় চীনা সম্প্রদায়ের ৪শ'র বেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

অভ্যর্থনাকালে কুনমিং জাতীয় নৃত্য ও গান থিয়েটারের শিল্পীরা একটি  পরিবেশনা উপস্থাপন করেন।

মন্তব্য ( ১)





image
  • company_logo