• অর্থনীতি

ধ্বংসস্তূপে টিকে থাকলো সাত প্রতিষ্ঠান

  • অর্থনীতি
  • ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ১৭:১৫:৫১

ছবিঃ সংগৃহীত

অর্থনীতি ডেস্ক:সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। এ পতনের বাজারে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে মাত্র সাতটি প্রতিষ্ঠান। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের সঙ্গে কমেছে লেনদেন। ডিএসইতে লেনদেন কমে ২৫০ কোটি টাকার নিচে চলে এসেছে। গত ৩ জানুয়ারির পর এত কম লেনদেন আর দেখা যায়নি।

প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বড় দরপতন হয়েছে। বাজারটিতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে মাত্র ৫টি প্রতিষ্ঠান। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মধ্যে চলতি সপ্তাহে লেনদেন হওয়া প্রতিটি কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হলো।

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই দরপতনের আভাস পাওয়া যায়। লেনদেন শুরু হতেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। ফলে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হতেই প্রধান মূল্যসূচক ২ পয়েন্ট কমে যায়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে পতনের মাত্রা।

এতে দিনের লেনদেন শেষে মাত্র সাতটি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫০টির। আর ১৫৪টির দাম অপরবর্তিত রয়েছে। এ ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পারা সাত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, অলেম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ইসলামী ব্যাংক, বার্জার পেইন্টস, ন্যাশনাল টি এবং বিডি ল্যাম্প।

অবশ্য অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম যে হারে কমেছে, মূল্যসূচক সে হারে কমেনি। এর কারণ মূল্যসূচকে প্রভাব রাখার ক্ষেত্রে দরপতনের তালিকায় নাম লেখানো প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা খুবই সামান্য। ফলে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের পরও ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৩ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৩৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২২১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৫৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২২২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২৫৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৩৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে চলতি বছরের ৩ জানুয়ারির পর ডিএসইতে সর্বনিম্ন লেনদেন হলো।

এ লেনদেন খরার বাজারে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৯ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা জেনেক্স ইনফোসিসের ১৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ১১ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- শাহিনপুকুর সিরামিকস, আমরা নেটওয়ার্ক, রূপালী লাইফ, ওরিয়ন ফার্মা, অলেম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, জেমিনি সি ফুড এবং আলহাজ্ব টেক্সটাইল।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১১৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৬টির এবং ৫৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo