• বিশেষ প্রতিবেদন

চাটমোহরে ফসলি জমির মাটি খাচ্ছে অবৈধ ইটভাঁটা

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ১৪:৪০:৫৩

প্রতীকী ছবি

তোফাজ্জল হোসেন বাবু,পাবনাঃ পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন বিল আর সমতল জমির উর্বর মাটি খাচ্ছে অবৈধ ইটভাঁটা। প্রতিদিন উর্বর জমির মাটি কেটে একটি চক্র পাটাচ্ছে ইটভাঁটায়। মাটি পরিবহণের কারণে নষ্ট হচ্ছে সরকারি রাস্তা। এ উপজেলার অবৈধ ইটভাঁটায় জমির মাটির পাশাপাশি পুড়ছে কাঠ। কিন্তু কোন প্রতিকার মিলছেনা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ। অবৈধ ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো যেমন বন্ধ হচ্ছেনা, তেমনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুকুর খননের উৎসব চলছে।

সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, ফসলি জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ ইটভাটায় দিনরাত কাঠ পুড়ছেই। আইনের তোয়াক্কা না করে পূর্ণোদমেই চালানো হচ্ছে এসকল অবৈধ ইটভাটা। 

কৃষি জমি বিনষ্ট, ভাটায় কাঠ পোড়ানো, নিয়মনীতি লংঘন ও পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার বিষয় বিবেচনা না করে চলতি মৌসুমে ইট পোড়ানো শুরু হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, ইট পোড়ানোর লাইসেন্স,রফায়ার সার্ভিসের সার্টিফিকেট এমনকি ভ্যাট-আয়কর প্রদানের কাগজপত্র ছাড়াই ভাটার মালিকরা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আর সকলকে ম্যানেজ করে ২৪ ঘণ্টা ইট পোড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

এসব অবৈধভাবে ইটভাটায় মাঝে মাঝে জরিমানার মধ্যেই প্রশাসনিক অভিযান সীমাবদ্ধ রয়েছে। অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। কৃষিজমি বিনষ্ট করে গড়ে ওঠা এসব অবৈধ ইটভাটা দীর্ঘদিন ধরে কিভাবে চালু রয়েছে, এবিষয়ে বিশিষ্টজন ও পরিবেশবাদীরা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। ইটভাটার ইট পরিবহনের কারণে রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা। চলাচলের রাস্তা ভেঙ্গে পড়ায়  চরম ভেগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা।

উপজেলার গুমানী নদী তীর দখল করে গড়ে ওঠা একটি ইটভাটায় অবাধে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে আর ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কৃষি জমির উপর এ ইট ভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। একই অবস্থা বওশা ঘাট এলাকার হাজী ব্রিকস ফিল্ডের। ভাঁটা নির্মাণের জন্য চিমনীর উচ্চতা ও আনুসঙ্গিক যে নির্দেশনা রয়েছে তা অধিকাংশ ভাঁটা মালিকারা মানেননি। ভাটার কালো ধোঁয়া নির্গত হয়ে এলাকার পরিবেশ সবসময় দুষণযুক্ত রাখে। অবাধে নিধন হচ্ছে গাছপালা। ভাটার মালিকরা অবৈধ উপায়ে ফসলী জমি কেটে মাটি সংগ্রহ করে থাকে। নামপ্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী বলেন, লিখে কি করবেন। সকলকে ম্যানেজ করেই বছরের পর বছর চলছে অবৈধ ইটভাটা। অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায়, আইওয়াশ ছাড়া আর কিছু নয় অবৈধ ভাঁটা ভেঙ্গে গুড়িয়ে না দিলে তা কখনও বন্ধ হবে না।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo