• বিশেষ প্রতিবেদন

উত্তরে বাড়ছে শীতের দাপট

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ১৩ জানুয়ারী, ২০২৩ ১২:২৬:৫৮

ছবিঃ সিএনআই

নজরুল ইসলাম রাজু, রংপুর ব্যুরো: উত্তরাঞ্চলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ।ঘনকুয়াশা মেঘলা আকাশ।কুয়াশাগুলো বৃষ্টির মতো ঝড়ছে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত।রংপুরে সর্বনিম্ন
তাপমাত্র ৮দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে উঠানামা করছে।সাধারন মানুষ বলছেন,কয়েকদিন ধরে উত্তরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ অনেক বেশি।কনকনে ঠান্ডার কারণে বাড়ছে হাসপাতালে শীতজনিত রোগ। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় উত্তরের বিভিন্ন জেলায় দুর্ভোগ চলছে জনজীবনে।রংপুরে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠানামা করছে।কনকনে শীতে নাকাল এলাকার মানুষ।হিমালয়ের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় বেড়েছে জনদুর্ভোগ এ অঞ্চলে।মহাসড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে দিনের বেলাই চলাচল করছে যানবাহন।

এদিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেরোগির সংখ্যা বাড়ছে ডায়রিয়া, জ্বর সর্দি, নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগে।প্রতিদিনেই জেলার উপজেলার হাসপাতালগুলোতে সেবা নিতে ভিড় করছেন শীতজনিত রোগীরা।

রংপুরে তীব্রশীত আর ঘনকুয়াশায় মধ্যরাত থেকে সকালে ঢেকে যায় চারদিক।উত্তরের হিমশীতল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সড়ক-মহাসড়কগুলোতে দুরপাল্লার যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বেড় হচ্ছেন অনেক মানুষ।

রংপুর জেলায় থমকে গেছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।তীব্র শীত ও হিমেল বাতাসে জবুথবু মানুষ। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন মানুষ।হিমেল হাওয়ায় কষ্টে খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ। খরকুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন দুঃস্থরা। রমেকে কর্মরত চিকিৎসক বলছেন,শীত বেশি হওয়ায় বাড়ছে শীতজনিত রোগির সংখ্যা।এ পর্যন্ত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু বিভাগে শীতজনিত রোগে শিশু ও বয়স্ক রোগির সংখ্যা সাড়ে ৪শতাধিক চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন।আর এই হাসপাতালের ১ হাজার শয্যা কিন্তু এখন রোগি প্রতিদিন গড়ে ২হাজার থেকে ২২শ চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে।বেশি রোগির সংখা বাড়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে সমস্যা পড়তে হচ্ছে চিকিৎসকের।তিল ধারণের ঠাই নেই হাসপাতালে রোগি রাখার।

শীতে বেশির ভাগ দুভোগে পড়ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা।কনকনে ঠান্ডায় গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন নিম্নআয়ের মানুষ। মৃদু শৈত্য প্রবাহ বইছে।ঘন কুয়াশা,ঠান্ডা বাতাস আর শৈত্য প্রবাহ কনকনে ঠান্ডায় কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের জন-জীবন। কনকনে ঠান্ডায় তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শ্রমজীবী, নিম্নআয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ।দরিদ্র ও শ্রমজীবীরা মানুষরা পড়েছে চরম দুর্ভোগে।সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে গরম কাপড়ের সংকট। শ্রমজীবী মানুষ বদরগঞ্জের শরিফুল ইসলাম জানান,গত কয়েকদিন ধরে চলছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ।এর ফলে ঠান্ডা বাড়ছে এ অঞ্চলে।কনকনে শীতের ফলে ঘর থেকে বের হতে অনেক সমস্যায় পরতে হচ্ছে।কষ্টে আর দুভোর্গে পড়ছে উত্তরের নিম্নআয়ের মানুষ।

রংপুর আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান,জানিয়েছেন বুধবার চলতি বছরে রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠানামা করছে।এ অবস্থায়া গরম কাপড় ব্যবহারসহ ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়াবিদ। তবে আগামী ১৫তারিখের মধ্যে  মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে এ অঞ্চলে। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo