• শিক্ষা

জিপিএ-৫ পেয়েও পছন্দের কলেজ পায়নি চট্টগ্রামের ১৬৬৭ শিক্ষার্থী

  • শিক্ষা
  • ০৩ জানুয়ারী, ২০২৩ ১১:২৮:১৪

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েও এবার একাদশে ভর্তির প্রথম পর্যায়ের ফলাফলে কলেজ জোটেনি চট্টগ্রামের ১ হাজার ৬৬৭ জন শিক্ষার্থীর। এদের বেশিরভাগই বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সর্বোচ্চ জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থী। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওই শিক্ষার্থীরা যেসব কলেজ পছন্দ করেছিল সেগুলোতে আসন খালি না থাকায় প্রথম পর্যায়ে তারা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে না।

এবার চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এসএসসিতে ১৮ হাজার ৬৮৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়। তাদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাড়ে ১৪ হাজারের বেশি।

গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় একাদশে ভর্তির প্রথম পর্যায়ের ফল প্রকাশিত হয়। এতে দেখা যায়, সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ পাওয়া মোট ১৮ হাজার ৬৮৮ জনের মধ্যে ১৮ হাজার ৪৮৬ জন শিক্ষার্থী চট্টগ্রাম বোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন করে। এরমধ্যে ১৬ হাজার ৮১৯ জন প্রথম পর্যায়ে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে। তবে সর্বোচ্চ জিপিএ পাওয়া ১ হাজার ৬৬৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য প্রথম পর্যায়ের তালিকায় কলেজ পায়নি। আবেদনকারীদের মাঝে চট্টগ্রামে সবমিলিয়ে প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষার্থী প্রথম তালিকায় ঠাঁই পায়নি।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য চট্টগ্রামের ১ লাখ ৩২ হাজার ১৯৫ জন শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করে। এর মধ্য থেকে প্রথম তালিকায় নির্বাচিত হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৫৮ জন। ১৩ হাজার ৮৩৭ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেও প্রথম তালিকায় কলেজ পায়নি।

প্রথম তালিকায় কলেজ না পাওয়ায় ভর্তির জন্য মনোনয়ন পেতে আগামী ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে তাদের। ওই দিন একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের ফল প্রকাশ করবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি। এর আগে ৯ থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে ২য় দফায় পুনরায় আবেদন করতে হবে এসব শিক্ষার্থীকে। তবে ২য় দফায় তাদের কোনো আবেদন ফি দিতে হবে না।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক জাহেদুল হক বলেন, একাদশে ভর্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দশটি কলেজে আবেদনের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু জিপিএ-৫ পাওয়া অনেক শিক্ষার্থী পছন্দের ক্ষেত্রে ৫-৬টির বেশি কলেজ দেয়নি। তাদের ধারণা ছিল ৫-৬টি কলেজে আবেদন করলে তাদের নাম চলে আসবে। কিন্তু যেসব কলেজে তারা আবেদন করেছে, সেসব কলেজে তাদের তুলনায় বেশি নম্বর পাওয়া আবেদনকারীর সংখ্যা হয়তো বেশি ছিল। সে কারণে যারা ৫-৬টি কলেজের বেশি পছন্দ দেয়নি, তাদের একটিতেও সুযোগ হয়নি। কিন্তু দশটি কলেজে আবেদন করলে এ সমস্যা হয়তো হতো না।

তিনি বলেন, একাদশে ভর্তির আবেদন চলাকালীন সর্বোচ্চ সংখ্যক কলেজ পছন্দ দিয়ে আবেদন করতে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের প্রতি আমরাও বারবার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্তু অনেকেই তা করেননি। অতি আত্মবিশ্বাসের কারণেও এটি হয়েছে। যে কারণে সর্বোচ্চ জিপিএধারী হয়েও তারা প্রথম পর্যায়ের ফলাফলে ভর্তির জন্য কোন কলেজে মনোনীত হয়নি।

এসব শিক্ষার্থীর কলেজ পাওয়া নিয়ে সমস্যা নেই জানিয়ে কলেজ পরিদর্শক বলেন, এরা ভর্তি হতে পারবে। কারণ চট্টগ্রামের কলেজগুলোর মোট আসন সংখ্যার তুলনায় আবেদনকারীর সংখ্যা কম। যার কারণে সামগ্রিকভাবে চট্টগ্রামে আসন সংকট হবে না। তবে তারা যে কলেজে ভর্তি হতে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে, সেটি হয়তো পাবে না। যারা প্রথম তালিকায় মনোনয়ন পায়নি, তাদের পরবর্তী তালিকায় মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে ।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ শাখার তথ্যমতে- চট্টগ্রাম বোর্ডের অধীনে এবার ২৮১টি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন রয়েছে। অনুমোদিত এসব কলেজে সবমিলিয়ে আসন সংখ্যা ১ লাখ ৭৩ হাজার ৭১৭টি। বিপরীতে বোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য এবার আবেদন করেছে ১ লাখ ৩২ হাজার ১৯৫ জন। সে হিসেবে একাদশে ভর্তিতে আসন সংকট হবে না। উল্টো আরও ৪০ হাজারের বেশি আসন শূন্য থাকবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo