• জাতীয়

হত্যাকাণ্ডের পর মালয়েশিয়া পাড়ি, দেশে এসে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার

  • জাতীয়
  • ০৩ নভেম্বর, ২০২২ ১৮:২৭:১০

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ ২০১০ সালে ময়মনসিংহে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে খুন হন কাজিম উদ্দিন। ঘটনার পর মামলাও হয়। যার প্রধান আসামি মো. সোহেল মিয়া (৩৫)। এরপর পালিয়ে যান তিনি। মাঝে গ্রেফতার হয়ে জেলও খাটেন। জামিনে পেয়ে একসময় মালয়েশিয়া চলে যান।

এভাবে দেশে-বিদেশে দীর্ঘ ১২ বছর পলাতক ছিলেন তিনি। সবশেষ তাকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। রাজধানীর মতিঝিল থেকে বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ভোরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

র‍্যাব-৩ জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই সোহেল মিয়া আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে পালিয়ে থাকেন। ২০১৩ সালে অভিযোগপত্র দাখিলের পর ১০ মাস জেল খেটে বের হন জামিনে। এরপর ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে দালালের মাধ্যমে অবৈধপথে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান।

সেখানে তিনি একটি ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপে কাজ করতেন। কিন্তু ভিসা জটিলতায় ২০১৯ সালে তাকে দেশে ফিরে আসতে হয়। দেশে এসে গ্রামের বাড়ি ফিরে না গিয়ে বিমানবন্দর থেকেই সরাসরি রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যান। এরপর থেকেই কমলাপুর এলাকায় কখনো পাগল বেশে ভিক্ষা করে আবার কখনো রিকশা চালিয়ে পলাতক জীবন-যাপন করেন। মাঝেমধ্যে আবার মোবাইলে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও রাখতেন।  

র‍্যাব-৩ জানায়, নিহত কাজিম উদ্দিন এবং সোহেল মিয়া একই এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। পারিবারিক সম্পত্তির দখল নিয়ে তাদের দুই পরিবারের মধ্যে ছিল বিরোধ। এ কারণে ভিকটিম কাজিম উদ্দিন একটি দেওয়ানী মামলাও করেছিলেন।

এরপর ২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বরে বাঁশ কাটা নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে হত্যার শিকার হন কাজিম উদ্দিন। সেদিন তাকে বেধড়ক পেটান সোহেল মিয়া ও মামলার অন্য আসামিরা।

একপর্যায়ে সোহেল মিয়া বাঁশের লাঠি দিয়ে কাজিম উদ্দিনের মাথায় আঘাত করেন। এতে মাথার মগজ বের হয়ে আসে কাজিম উদ্দিনের। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহত কাজিম উদ্দিনের ভাতিজা মো. নয়ন মিয়া বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় সোহেল মিয়াকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo