• জাতীয়

আদি বুড়িগঙ্গার পুরো ৭ কিলোমিটারই আমরা দখলমুক্ত করব : মেয়র তাপস

  • জাতীয়
  • ০২ নভেম্বর, ২০২২ ১৭:০৫:০৯

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল উদ্ধার পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আদি বুড়িগঙ্গার পুরো ৭ কিলোমিটারই আমরা দখলমুক্ত করব। খনন করে দুপাশ দিয়েই হাঁটার পথ, সাইকেল চালানোর পথ এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করব।

তিনি বলেন, তবে এটা অত্যন্ত দুরুহ এবং বিশাল কর্মযজ্ঞ। আমরা শুরু করেছি মাত্র একটু সময় নেবে। কিন্তু আমরা আশাবাদী, ঢাকাবাসী একটি নান্দনিক পরিবেশ পাবে। নদী ফিরে পাবে।

বুধবার (২ নভেম্বর) বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলে চলমান পরিষ্কার, খনন ও উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, পূর্ণ রূপে ফিরে না আসা পর্যন্ত আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান, খনন ও বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান থাকবে। আমরা অক্টোবর থেকে আদি বুড়িগঙ্গা খনন, সীমানা নির্ধারণ এবং দখলমুক্ত করার কার্যক্রম শুরু করেছি। আজকে সেই কার্যক্রম পরিদর্শনে আমি আবারও এসেছি। আপনারা লক্ষ্য করেছেন, কালুনগর স্লুইস গেটের যেই জায়গাতে আমরা দাঁড়িয়ে আছি, অক্টোবর মাসেও এখানে পুরো বন্ধ অবস্থায় ছিল। এখানে যে নদীর খাল বা অববাহিকা তা দৃশ্যমান ছিল না। আজকে সেই নদীর পরিবেশ দৃশ্যমান হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা অনেক দখলমুক্ত করেছি। এখানে বিভিন্ন কারখানা, বড় বড় ভবন, দশতলা ভবন সেগুলো ভাঙার প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে। নদীর দুই পাশের তীর এখন দৃশ্যমান। এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত পূর্ণরূপে আমরা আদি বুড়িগঙ্গা ফিরিয়ে আনতে না পারবো ততক্ষণ আমাদের কাজ চলমান থাকবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমরা কেবল কাজ শুরু করলাম। এই কাজটি আমরা আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে ভালো একটি অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই। কারণ বর্ষার মধ্যে কাজ করা আরও দুরূহ। সুতরাং আমি মনে করি যে, আগামী মার্চের মধ্যেই আমরা আরও অনেক কাজ দৃশ্যমান করতে পারব। নদীর অববাহিকা দেখতে পাবো।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, অঞ্চল-৮ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার প্রমুখ।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo