• বিশেষ প্রতিবেদন

পটুয়াখালীতে ৫৮ হাজার জেলে জন প্রতি পাচ্ছে ২০ কেজি চাল খাদ্য সহায়তা

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ১১ অক্টোবর, ২০২২ ১৮:০৫:৪৭

ছবিঃ সিএনআই

মোঃমেহেদী হাসান(বাচ্চু)পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীতে মৌসুম জুড়ে ইলিশের আকাল আর বারবার বৈরি আবহাওয়ার কারনে মাছ শিকার বন্ধ রাখার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর রাত ১২.০১ মিনিট) মধ্য রাত থেকে শুরু হচ্ছে মা ইলিশের বাধাঁহীন প্রজননের জন্য ২২ দিনের অবরোধ। এ মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলবে ২৮ অক্টেবর পর্যন্ত। এসময়ে জেলার নিবন্ধিত ৫৮ হাজার জেলে পাচ্ছে সরকারের খাদ্য সহায়তা। 

চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই পটুয়াখালীর উপক‚লীয় এলাকার জেলেদের জালে চলছে ইলিশের আকাল। বেশ কয়েকবার বৈরি আবহাওয়ার কারনে কয়েক দফায় মাসাধিকাল বন্ধ ছিল সাগরে মাছধরা। মৌসুমের শুরুতে ৬৫ দিনের অবরোধ শেষে সাগর যাত্রায় এ পর্যন্ত যে ইলিশ ধরা পড়ছে তার অধিকাংশই ছিল আকারে ছোট।বাজার দর ভাল পেলেও পরিমানে মাছ কম পাওয়ায় প্রতিবার সাগর যাত্রার ব্যায়ের অর্ধেক খরচ উঠেনি জেলে ও ট্রলার মালিকদের।এরইমাঝে ৭ অক্টোবর থেকে মা ইলিশের বাধাঁহীন প্রজননের জন্য সাগরসহ নদী মোহনায় মাছ শিকার বন্ধ রাখতে হচ্ছে ২২দিন। সময় র্নিধারন যথাপোযুক্ত নয়, মনে করে হতাশ জেলে, ব্যবসায়ী। 

মৎস্য বিভাগ সূত্র জানায়, ইলিশ সারা বছরই কমবেশি ডিম ছাড়ে। তবে আশ্বিন মাসের অমাবস্যা ও ভরা পূর্ণিমায় ইলিশ প্রচুর ডিম ছাড়ে। প্রজননের এই প্রধান সময় ইলিশ গভীর সাগর থেকে মোহনা ও নদীর মিঠা পানিতে ছুটে আসে। তবে জেলেরা অকপটে স্বীকার করেন, মা ইলিশের বাধাঁহীন প্রজননের জন্য ২২দিনের অবরোধের সুফল তারা পাচ্ছেন।

ইলিশের সাথে অন্যান্য মাছেরও উৎপাদন বাড়ে। অবরোধকালীন সময় সফল করার বিষয়ে তাদের রয়েছে আগ্রহ। তবে এ সময় দেয়া প্রনোদনা বাড়ানোসহ নির্ধারিত সময়ে তা প্রকৃত ইলিশ শিকারীদের মাঝে বিতরনসহ এসময় পার্শ^বর্তী দেশের জেলেদের মাছ ধরা বন্ধের দাবী জেলেদের। মহিপুর মৎস্য ব্যবসায়ী ও ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম বেপারী বলেন, ধরা পড়া শতকরা ১০ ভাগ ইলিশের পেটে ডিম নেই। সময়টি যদি আরো ১৫ দিন বাড়িয়ে দেয়া হত, তবে মা ইলিশ পরিপক্কতা অর্জন করত।

মোহনায় অধিক বেশি ডিম দিত। মেরিন এক্টের মাধমে মৌসুমের শুরুতে যে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় সেটি মা উলিশের প্রজনন সময়ের সাথে মিলিয়ে একত্রে দিলে ইলিশের উৎপাদন আরো বাড়ত।শেরে বাংলা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের ফিশারিজ-একোয়াকালচার এন্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, সময়টি যথপোযুক্ত। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কিছুটা পরিবর্তন হয়ত হতে পারে। তবে সেটি নিয়ে পরীক্ষা না করে কিছু বলা যাবেনা। তিনি আরো বলেন, অনিবন্ধিত অনেক জেলে রয়েছে তাদের নিবন্ধনের আওতায় আনা দরকার। যারা জেলে নয় অথচ জেলে হিসাবে নিবন্ধিত হয়েছে, তারে বাদ দেয়া উচিৎ। এ নিয়ে মৎস্য বিভাগের একটি প্রকল্প ছিল। সেটি পুনরায় চালু করা দরকার। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম বলেন, জেলায় মোট নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ৬৩ হাজার ৮শ’ ৪৮ জন। এরমধ্যে ৫৮ হাজার জেলে জনপ্রতি ২০ কেজি করে পাচ্ছেন সরকারী প্রনোদনার চাল।

অবরোধ সফল করতে জেলে, ব্যবসায়ী, জেলে পল্লীতে প্রচারাভিযান, ধারাবাহিক সভা করা হয়েছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ প্রসাশন, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশের একাধিক টিম যৌথ সমন্বয়ের মাধ্যমে জলে ও স্থলে কাজ করবে।  

মন্তব্য ( ১৩৩)





image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
image
  • company_logo