• শিক্ষা
  • লিড নিউজ

নানান সমস্যায় জর্জরিত বশেমুরবিপ্রবির আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা

  • শিক্ষা
  • লিড নিউজ
  • ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:১৬:৪২

ছবিঃ সিএনআই

মেজবা রহমান,বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: 

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা হবে বিশ্বমানের, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্ষমতা অর্জন করবে আন্তর্জাতিক শিক্ষাশৈলির সাথে তাল মেলানোর। শিক্ষার্থীরা শিখবে নৈতিকতা, মহানুভবতা, মননশীলতা। পূর্ণপরিসরে সেই সুযোগ পায়না বাংলাদেশের অন্যতম একটি স্থান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পিতৃভূমি গোপালগঞ্জে অবস্থিত, তারই নামে নামাঙ্কিত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। 

বিশ্ববিদ্যালয় একজন ছাত্রকে শুদ্ধ মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার যায়গা। বিশ্বমানের পড়ালেখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিখবে বৈশ্বিক জ্ঞান। মেধা ও মননশীলতায় একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়ে উঠবে বিশ্বমানের। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বকে দেখতেপাবে তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশের মাধ্যমে। উচ্চশিক্ষিত শিক্ষক-শিক্ষিকা, ন্যায়-নীতিবান প্রসাশন এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক শিক্ষার্থীদের থেকে শিখবে বিবিধ জ্ঞান। 

তবে এইসব সুবিধায় ভাটা পরে আছে বশেমুরবিপ্রবিতে। ক্যাম্পাসে নেই ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র। যেখানে অবাধ চলাচলের মাধ্যমে শিক্ষকদের থেকে জ্ঞান আহরণের সুযোগ থাকবে ছাত্র-ছাত্রীদের। সেইসাথে বশেমুরবিপ্রবির হলগুলোতে নেই যথাযথ ব্যবস্থা। নেই উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ, নেই পত্রিকা পাঠের রূম, নেই ইনডোর খেলার রূম, বিনোদনের জন্যও নেই কোনো আলাদা টিভি রূমের ব্যবস্থা। 

যেখানে খেতে যায় শিক্ষার্থীরা সেখানেই দাড়িয়ে পত্রিকা পড়তে হয়। আবার সেখানে উচ্চশব্দে চলে টেলিভিশন। টেলিভিশনের উচ্চশব্দের সাথে আছে খেলায় চার, ছয়ের আনন্দে চিৎকার ও হাততালি। কেউ আবার এক কর্নারে ক্যারাম খেলেছে আর সাফল্যের চিৎকার করছে। এসব সহ্যকরেই দাড়িয়ে পড়তে হবে পত্রিকা। ওদিকে ভাতের থালা হাতে নিয়ে জায়গার অভাবে দাড়িয়ে দাড়িয়ে খাচ্ছে কয়েকজন। এই হলো বশেমুরবিপ্রবি'র হলগুলোর নিত্যদিনের চিত্র। 

হলের অসুবিধার কথা উল্লেখ করে শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শামসুর রাহমান পাভেল বলেন, "আমাদের হল গুলোর পরিবেশ মানানসই। তবে সুযোগ সুবিধা কম আমাদের সমসাময়িক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। শুধু হল সুবিধায় নয় অবকাঠামোগত সুবিধায়ও আমরা পিছিয়ে অনেক ক্যাম্পাসের থেকে। যেহেতু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি সেহেতু অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুযোগ সুবিধা পাবো এইটুকু আশা প্রসাশন থেকে করতেই পারি আমরা।" 

বঙ্গমাতা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাদিয়া জাহান বলেন, "হলের অবস্থা তো এই সম্প্রতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিছুদিন আগেও আমরা বেড শেয়ার করে থাকতাম। আর হলে বড় রিডিং রূম দরকার যাতে বেশি শিক্ষার্থী পড়া যায়। সেইসাথে টিভিরুম আর পত্রিকা রুম দুটো অবশ্যই আলাদা হাওয়া জরূরী।"

এবিষয়ে অভিমত জানতে চাইলে শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট এমদাদ হোসেন বলেন, "অবশ্যই শিক্ষার্থীরা এসব সুবিধার দাবীদার। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি, ক্যাম্পাসের জায়গার পরিমাণ কম, আবার হলের গঠনগত দিকথেকেও কমতি আছে। তাই এসব সুবিধা থেকে বর্তমানে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত। তবে এসব সুবিধা তারা অবশ্যই পাবে সেটা অতি শীঘ্রই হাওয়া জরূরী। 

তিনি আরো বলেন, "আমার শেখ রসেল হলে এসব সুবিধা খুব শীঘ্রই আসছে। আমাদের কনস্ট্রাকশনের কাজ শেষ হচ্ছে দ্রুত। সেখানে আমরা একটি গেষ্ট রুম, আলাদা বড় ইনডোর গেমস রুম, এবং আলাদা টিভি রূমের ব্যবস্থা করতে পারবো। বড় একটি রিডিং রূম এবং বর্তমানের থেকে বড় প্রেয়ার রূমের ব্যবস্থা করার চিন্তা আছে আমাদের।" 

শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনের তুলনায় নগন্য সুবিধা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষার্থী উপদেষ্টা ড. শরাফত আলী জানান, "বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসাবে হলের সকল সুবিধা পাওয়া তাদের অধিকার। তবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় নতুন, পরিসর কম, অবকাঠামো কম, তাই কিছু সুবিধা থেকে আমাদের শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত। তবে প্রসাশনের প্রচেষ্টায় আশাকরি যথাশীঘ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সুবিধা আমাদের শিক্ষার্থীরা ভোগ করতে পারবে।" 

উল্লেখ্য, যেখানে প্রয়োজনীয় হলের সুবিধাই পায়না বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা সেখানে বিশ্বমানের জ্ঞান আহরণ করা তো দায়। ওদিকে ক্যাম্পাসে নেই যথোপযুক্ত অবকাঠামো ব্যবস্থা, নেই প্রসাশনের সঠিক পরিচালনা।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo