• প্রশাসন
  • লিড নিউজ

সার নিয়ে কারসাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে:বগুড়া জেলা প্রশাসক 

  • প্রশাসন
  • লিড নিউজ
  • ২২ আগস্ট, ২০২২ ২২:৪৫:২৪

ছবিঃ সিএনআই

সঞ্জু রায়, বগুড়া: বগুড়া জেলা প্রশাসক মো: জিয়াউল হক বলেছেন, বগুড়ায় পর্যাপ্ত সারের মজুদ রয়েছে যেখানে সংকট হওয়ার কোন সুযোগ নেই। কিন্তু অসাধু মহল বা সার ব্যবসায়ী কারসাজি করলে বা কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। শুধু তাই নয় সেসব সার ব্যবসায়ীর ডিলার লাইসেন্স বাতিলেরও সুপারিশ করা হবে। তিনি আরও বলেন, সারের বাজার বগুড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষে প্রতিদিন মনিটরিং করা হচ্ছে। তাই এই বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।

সোমবার সকালে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষ করতোয়ায় অনুষ্ঠিত বগুড়া জেলার সার উত্তোলন, বিতরণ ও মজুদ পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক উপরোক্ত কথাগুলি বলেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাসুম আলী বেগের সভাপতিত্বে প্রেস ব্রিফিং এ লিখিত বক্তব্যে বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দুলাল হোসেন জানান, বগুড়ায় মোট আবাদী জমির পরিমাণ ২ লাখ ২৪ হাজার ৮৩০ হেক্টর। এর মধ্যে ১ লাখ ৮২ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ জমিতে রোপা আমন চাষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এবার রোপিত প্রায় ৭৫ ভাগ জমিতে ইউরিয়া সারের প্রয়োগ চলছে। তিনি বলেন, চলতি বছরে শাকসবজি ও মরিচ চাষ বেশি এবং খরার কারণে সম্পূরক সেচের মাধ্যমে একই সাথে রোপা আমন ধান রোপনের ফলে বগুড়ায় কৃষকদের বেশি সারের প্রয়োজন হলেও চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দকৃত অতিরিক্ত ২ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার বগুড়ার প্রতিটি উপজেলায় প্রদান করা হয়। সেই সাথে সারের কালোবাজারি রুখতে ও সরকারের নির্ধারিত মূল্য নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্টের অভিযান অব্যাহত রেখেছেন জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। দুলাল হোসেন আরো জানান, বগুড়ায় কৃষকদের মাঝে পর্যায়ক্রমে সার বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে জেলায় ইউরিয়া সার ১ হাজার ২০৫ মে.টন, টিএসপি ৮৯০ মে.টন, এমওপি ৫৭০ মে.টন এবং ১ হাজার ৯৫৬ মে.টন সারের মজুদ রয়েছে।

সভায় বিশেষ  অতিথির বক্তব্যে জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বিপিএম বলেন, বগুড়ায় সারের নির্ধারিত মূল্য নিশ্চিত ও সারের সিন্ডিকেট রুখতে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের পাশাপাশি পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের নজরদারি চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, বগুড়ায় পর্যাপ্ত সার মজুদ রয়েছে তাই সার নিয়ে কৃষকদের আতঙ্কিত হবার কোন কারণ নেই।

সভায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গাজী মূয়ীদুর রহমান, সার বিক্রেতা সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনসহ জেলার বিভিন্ন সারের ডিলার ও বিক্রেতাসহ সাংবাদিক এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo