• রাজনীতি

দিন যায় মাস যায়, ফখরুল সাহেবদের আন্দোলন দেখা যায় না: ওবায়দুল কাদের

  • রাজনীতি
  • ১৮ আগস্ট, ২০২২ ১৬:৪৬:২৭

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৩ বছর ধরে কত শুনলাম, কোরবানির ঈদের পরে। দিন যায়, সপ্তাহ যায়, মাস যায়, পদ্মা, মেঘনায় কত পানি গড়িয়ে যায়, কিন্তু ফখরুল সাহেবদের আন্দোলনের সোনার হরিণের দেখা পাওয়া যায় না। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন, দিল্লি দূর অস্ত।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে টিএসসিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘পিতার শোক, কন্যার শক্তি বাংলার অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কতা বলেন।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ফখরুল সাহেব মাঝে মাঝে কাঁদতে কাঁদতে চোখের পানি ফেলেন। আমাদের যে কত চোখের পানি কাঁদতে কাঁদতে শুকিয়ে গেছে, সে হিসাব কি আপনাদের দেব? আন্দোলন করবেন আর ব্যর্থ হলে নন্দঘোষ আওয়ামী লীগ। কোথায় আন্দোলন? দেখা তো মেলে না। আন্দোলনের সোনার হরিণ দেখা না দিলে ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন কোনো দিন ধরা দেবে না।

শেখ হাসিনাকে আল্লাহ ক্ষমতা দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব, কষ্ট প্রকাশ করে কি করবেন? শেখ হাসিনাকে আল্লাহ ক্ষমতা দিয়েছেন। তিনি ভাগ্যবতী। এ দেশে একজনকে (শেখ মুজিবুর রহমান) আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন স্বাধীনতার জন্য, আরেকজনকে (শেখ হাসিনা) সৃষ্টি করেছেন মুক্তির জন্য।

আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইলেকশন আসছে। যতই মুখে বলেন, বাস্তবে তো আমরা বুঝি। ইলেকশনের আগে বিশাল একটা মনোনয়ন ব্যবসা আছে। এই লোভ আপনারা সামলাতে পারবেন না। তখন কি পদ্মা নদীতে লঞ্চে যাবেন? নৌকায় যাবেন? নৌকাও তো আমাদের। আগামী বছরের প্রথম দিন অনেকগুলো মেগা প্রজেক্ট উদ্বোধন করা হবে। তখন আপনাদের কষ্টের দরিয়ায় ঢেউ আসবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন ছাত্রলীগকে উদ্দেশ করে বলেন, ১৯৭৩ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাবারা একটু লেখাপড়া করো। অবসর সময়ে বাবা-মাকে সাহায্য করো। তোমরা লেখাপড়া করো কি না আমি জানি না। কারণ লেখাপড়া করার প্রমাণ হাতে বই, খাতা, কলম। শ্রেণিকক্ষে অবস্থান, গ্রন্থাগারে অবস্থান, যে দুটো অবস্থানেই আমি তোমাদের দেখি না।

আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনুষ্ঠান হয়, আনুষ্ঠানিকতা হয়, কিন্তু আন্তরিকতার বড় অভাব। আমি জানি না তোমরা কেউ বঙ্গবন্ধুর লেখা তিনটি বই পড়েছ কি না। ছাত্রলীগ করতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে, পড়তে হবে, বুঝতে হবে, অন্তরে ধারণ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo