• সমগ্র বাংলা

ঠাকুরগাঁওয়ে বাজারের খরচে পকেট ফাঁকা!

  • সমগ্র বাংলা
  • ১৭ আগস্ট, ২০২২ ২২:৩৩:৩৬

ছবিঃ সিএনআই

আব্দুল আউয়াল, ঠাকুরগাঁওঃ বাজারে এক বিতিকিচ্ছি অবস্থা। ঘরে বসে সবাই লম্বা লম্বা কিচ্ছা ছাড়ে। বাজারের সঙ্গে কোনো যোগসূত্র নেই তাদের। বাজার মনিটরিং না থাকায় বড় মিলার ও কর্পোরেট গ্রুপগুলো চালের দাম যাচ্ছেতাই বাড়াচ্ছে। আক্ষেপের সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ে নাম প্রকাশের অন ইচ্ছুক চালের অন্যতম বড় পাইকারি ব্যবসায়ী। একই কথা বললেন আরও কয়েকজন চাল ব্যবসায়ী।

ঠাকুরগাঁও কালিবাড়ি চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত তিন দিনের ব্যবধানে চালের দাম বস্তাপ্রতি ২ থেকে ৩শ টাকা বেড়েছে। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে গাড়ি ভাড়া বাড়ানোর অজুহাতে দাম বাড়ানো হয়। ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, বাজারে কোনো মনিটরিং না থাকায় ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে পুরনো প্রথায় সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো হচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও রোড বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী মো. জাফর আলম বলেন, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানোর প্রথা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। ডলার ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে কয়েক দফায় দাম বাড়ানো হয়েছে। বাজার মনিটরিং না থাকায় উত্তর বঙ্গের বড় মিলার ও বড় কোম্পানিগুলো ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। তিনি বলেন, চালের আমদানি শুল্কহার প্রত্যাহার ও সরকারি উদ্যোগে খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু করা হলে বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল থাকবে। অন্যথায় দাম আরও বাড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, দিনাজপুর  চালের চাহিদার বড় জোগান দেয় ঠাকুরগাঁওয়ে এবং  রোড,বিভিন্ন হাট গুলোতে। তার সঙ্গে দেশের কর্পোরেট গ্রুপগুলোও বাজারে চাল বিক্রি করে। বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও চাল সংকটের গুজব তুলে দফায় দফায় দাম বাড়ানো হয়।

গোপনে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও কালিবাড়ি,রোড এলাকার চাল বাজারের অন্তত ১০ থেকে ১৫ জন বড় ব্যবসায়ীর কাছেও প্রচুর চাল মজুত রয়েছে। উত্তর বঙ্গের মিলারদের যোগসাজশে তারাও বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়াচ্ছেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo