ছবিঃ সিএনআই
তোফাজ্জল হোসেন বাবু,পাবনাঃ পাবনার চাটমোহরে চলতি বছর পাটের বাম্পার ফলন হওয়ায় এবং বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটলেও পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিপাকে পাটচাষিরা। তীব্র খরায় নদী-নালা, জলাশয়, খাল-বিলসহ বিভিন্ন ডোবার পানি শুকিয়ে যাওয়ায় কাঁচা পাট কাটতে পারছেন না এ অঞ্চলের অনেক চাষী। কোথাও কোথাও পানির অভাবে খেতেই শুকিয়ে যাচ্ছে পাটগাছ। যেখানে যেটুকু পানি আছে সেখানেই গাদাগাদি করে পাট জাগ দেওয়া হচ্ছে। পুকুর, জলাশয়, নদী, ডোবার পানি পচে দূর্গন্ধ বের হচ্ছে। অল্প পানির মধ্যে পাট জাগ দেওয়ার পাশাপাশি পাট ধোয়ার কাজ চলছে পওরাদমে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চাষি ও কৃষি শ্রমিক পুরুশ ও মহিলারা পাট ছাড়ানো ও ধোয়ার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে পানির কারণে পাটের রং ভালো না হওয়ায় দাম নিয়ে দুশ্টিন্দায় পড়েছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী এ বছর চাটমোহর উপজেলায় ৮ হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ করা হয়েছে। বাজারে প্রতিমণ ভালো মানের পাট বিক্রি হচে।ছ ৩ হাজার থেকে ৩২ শত টাকা। দাম আরো বাড়বে বলে চাষিরা মনে করছেন।
ছোট-বড় খাল-বিলসহ বিভিন্ন ডোবা ও নালার পানি শুকিয়ে যাওয়ায় প্রান্তিক কৃষকরা পাট কাটতে পারছেন না। অনেকেই আবার ভারী বৃষ্টিপাতে বিভিন্ন ডোবা-নালায় পানি ভরাট হওয়ায় আশায় পাট কাটা শুরু করলেও কাঙ্খিত বৃষ্টির দেখা না পেয়ে পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। অনেক কৃষক পাট কেটে জমিতেই রেখে দিয়েছেন। অনেকেই বাড়ি ও সড়কের পাশের ডোবা,পুকুর ও জলাশয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন। বৃষ্টির অভাবে একদিকে পাটচাষিরা যেমন মহাবিপদে রয়েছেন,অন্যদিকে কৃষকরা রোপা আমন ধানও বুনতে পারছেন না। পাট কেটে ওঠানোর পরপরই জমিতে চাষ দিয়ে রোপা আমন ধান বুনেন কৃষকরা।
উপজেলার ডিবিগ্রামের পাটচাষি শমসের আলী বলেন,এ বছর আমি ২ বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে আমার মোট খরচ হয়েছেপ্র্রায় ২০ হাজার টাকা। বৃষ্টি কম হওয়ায় পাট কেটে জাগ দিতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। অতিরিক্ত খরচ দিয়ে জমি থেকে অসেক দূরে পাট জাগ দিতে হয়েছে। সেখানেও জাগ দেওয়ার জায়গার অভাব।
উপজেলার হরিপুর গ্রামের পটচাষি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় কোথাও পাট জাগ দেওয়ায় মতো পর্যাপ্ত পানি নেই। বড়াল নদীতে গাদাগাদি করে পাট জাগ দিতে হয়েছে। পানি পচে গন্ধ বের হয়েছে। তারপরও পাট জাগ দেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুমবিল্লাহ বলেন, এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় চাষিদের খরচ অন্যান্যবারের তুলনায় বেশি হয়ে যাচ্ছে। বর্তমান বাজারমূল্য যা আছে তাতে চাষিদের লোকসান হবে না। তবে দাম কমে গেলে চাষিরা সমস্যায় পড়বেন। পাট জাগ (পচানো) দিতে তীব্র পানিসংকটে পড়েছেন পাটচাষিরা।
লাইফস্টাইল ডেস্ক:শরীরের সবচেয়ে বেশি নোংরা আর দুর্গন্ধময় অ...
বিনোদন ডেস্ক: সিনেমা ব্যবসা সফল হোক বা না হোক, বলিউড তারক...
অনলাইন ডেস্ক: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল...
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলের কনসার্ট ...
মন্তব্য ( ০)