বশেমুরবিপ্রবিতে মৎস্য সপ্তাহ-২০২২ উদযাপন 

ছবিঃ সিএনআই

মেজবা রহমান,বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি)ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স ( এফএমবি)বিভাগের উদ্যোগে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ -২০২২ উদযাপিত হয়েছে।'মাছ চাষে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ'এই  স্লোগানকে সামনে রেখে   বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যালি ও মাছের পোনা অবমুক্তকরণের মাধ্যমে এটি উদযাপন করা হয়। 

র‍্যালিটি মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন থেকে  শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ  করে ।

এসময়ে মাছ চাষের গুরুত্ব নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়৷ র‍্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকে দেশি বিদেশি অর্ধ সহস্রাধিক মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.একিউএম মাহবুব, কৃষি অনুষদের ডীন ড.মোঃ মোজাহার আলী, ছাত্র উপদেষ্টা ও এফএমবি বিভাগের চেয়ারম্যান ড.শরাফত আলী,একই বিভাগের শিক্ষক   শিরিন আক্তার, তানিয়া ইসলাম,  নেয়াজ আল হাসান ও  মকিদুল ইসলাম খান সহ বিভাগের সকল শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে  উপাচার্য ড.একিউএম মাহবুব বলেন, মৎস সপ্তাহ উদযাপন  একটি ভালো উদ্যোগ।আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী।মাছ প্রোটিনের ভালো উৎস।মৎস্য খাত আমাদের দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে।আমাদের জিপিডিতেও এ খাতের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা  রয়েছে।কিন্ত আমাদের দেশের চাষীরা অতি লোভে ছোট ছোট পোনা ধরে ফেলছে।এতে দেশের মৎস্যখাত হুমকীর মুখে পড়ছে।

বশেমুরবিপ্রবি এফএমবি বিভাগ চার বছরেও ল্যাব সুবিধা পায়নি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,একটি বিভাগের প্রথম ব্যাচ গুলোকে সব সময়ই কিছু না কিছু ত্যাগ  করতে হয়।যেহেতু আমাদের পর্যাপ্ত  লোকবল ছিলনা এবং নানামুখী আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় অনেকদিন বন্ধ ছিল।তাই অনেক সময় ইচ্ছে থাকলেও আমাদের করার কিছু থাকেনা। আমরা রাতারাতি কিছুই করতে পারব না।এর জন্য সময় দরকার।

এফএমবি বিভাগের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড.শরাফত আলী বলেন,  জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের  এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগ আজ নানা কর্মসূচি আয়োজন করেছে।এরই ধারাবাহিকতায় আমরা র‍্যালি  ও মাছের পোনা অবমুক্তকরণ কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছি। 

তিনি আরো বলেন;২০২০-২১ সালে দেশের মোট উৎপাদিত মাছের পরিমান ছিল ৪৬.২১ লক্ষ মেট্রিক টন।যা সামগ্রিক জিডিপির ৩.৫৭ শতাংশ।দেশের অর্থনীতিকে  আরো দৃঢ় ও এবং দেশের জনগোষ্ঠীকে স্বর্নিভর করার পাশাপাশি মানসম্মত প্রোটিনের চাহিদা নিশ্চিতকরনে মৎস্য খাতের ভুমিকা অনস্বীকার্য।

মৎস্য খাত প্রাণিজ আমিষের ৬০% যোগান দিয়ে থাকে তাই নিরাপদ ও সঠিক উপায়ে মাছ চাষ অতীব জরুরি।