ছবিঃ সিএনআই
মোহাম্মদ তারেক,চট্টগ্রাম: সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে হত্যার পর নড়েচড়ে বসে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিলাসবহুল জীবন এবং অঢেল সম্পদের গুদাম। সবকিছু তদন্তের পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ২০ বছর ও তার স্ত্রী চুমকিকে ২১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ২৭ জুলাই, চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ মুন্সী আব্দুল মজিদের আদালত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় প্রদীপ ও তার স্ত্রী দুজনেই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক জানান, আদালত প্রদীপকে ২০ বছর এবং তার স্ত্রী চুমকিকে ২১ বছর কারাদণ্ড দেন। একই সাথে প্রদীপের ঘুষের টাকায় চুমকির নামে নেওয়া কোটি টাকার বাড়ি, গাড়ি ও ফ্ল্যাট রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করেন আদালত।
প্রদীপ এবং তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিলেন গত বছরের ১৫ ই ডিসেম্বর। গত ২৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন।
২০২২ সালের ২৩ মে, আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন প্রদীপের স্ত্রী চুমকি। পরে আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ যে, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর মেরিনড্রাইভ চেক পোস্টে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২০২০ সালের ৬ আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন ওসি প্রদীপ। সিনহা হত্যা মামলায় প্রদীপকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট, দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে প্রদীপ ও তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
জব ডেস্কঃ সীমান্ত ব্যাংক পিএলসিতে ‘ব্রাঞ্চ ম্য...
পাবনা প্রতিনিধিঃ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পাবনার ঈশ্...
নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলে আন্ত:জেলা মোটরসাইকেল চোর চক...
ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুর জেলা পরিষদের এক কর্মকর্তা...
মন্তব্য ( ০)