• সমগ্র বাংলা
  • লিড নিউজ

বগুড়ায় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করায় বিএনপি নেত্রী রনি কারাগারে

  • সমগ্র বাংলা
  • লিড নিউজ
  • ১৭ জুলাই, ২০২২ ২০:৪১:২৭

ছবিঃ সিএনআই

সঞ্জু রায়, বগুড়া:বগুড়ায় প্রধানমন্ত্রী কে নিয়ে কটূক্তি করা বিএনপি নেত্রী সুরাইয়া জেরিন রনির নাশকতা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। রবিবার দুপুরে বগুড়ার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ নরেশ চন্দ্র সরকার এই আদেশ দেন।

কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়া কোর্ট পরিদর্শক সুব্রত ব্যানার্জি জানান, সুরাইয়া জেরিন রনি বগুড়া মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গাবতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। রবিবার তার বিরুদ্ধে থাকা নাশকতা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণের পর তিনি জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। বিচারক আদেশ দেয়ার পর বেলা আড়াইটার দিকে সুরাইয়া জেরিন রনিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মামলার বরাতে কোর্ট পরিদর্শক বলেন, গত ২৭ মে বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় বিএনপির সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে সুরাইয়া জেরিন রনি আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন বলে অভিযোগ ওঠে। রনির ওই বক্তব্যের প্রতিবাদে ২৯ মে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয় গাবতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ। তাদের ওই কর্মসূচিকে ঘিরেই সংঘর্ষ বাধে। পরিদর্শক সুব্রত ব্যানার্জি আরও বলেন, পরে ৩১ মে সুরাইয়া জেরিন রনিসহ ১৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয় যে মামলার বাদী গাবতলী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজার পাইকার। সেই মামলায় জামিন নিতে গেলে বিএনপি নেত্রী রনিকে আদালত কারাগারে পাঠায় বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

এর আগে গত ১৪ জুলাই এ মামলায় আরও তিন বিএনপি নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই তিন নেতা হলেন গাবতলীর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিলটন, হারুনুর রশিদ ও ফজলে রাব্বী। হারুন ও রাব্বী উপজেলা বিএনপির সদস্য।

এদিকে বিএনপি নেত্রী রনির আত্মসমর্পণ কে ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণে যুবলীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। দুপুর সোয়া ২টার দিকে কোর্ট পুলিশ ও থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে রনিকে এজলাস থেকে বের করে আনে। পড়ে তাকে প্রিজন ভ্যানে করে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে কারাগারে নেওয়া হয়।

এর মধ্যে রনিকে প্রিজন ভ্যানে উঠানোর সময় যুবলীগ নেতাকর্মী দলীয় স্লোগান দিয়ে ডিম নিক্ষেপ করতে থাকেন। এতে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরাসহ গণমাধ্যমকর্মীরাও আক্রান্ত হয়।

পুলিশের প্রিজন ভ্যান আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করলে যুবলীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পড়ে পুলিশ উভয় পক্ষকে ভিন্ন ভিন্ন দিকে পাঠিয়ে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo