• সমগ্র বাংলা

হাতীবান্ধায় গৃহবঁধূকে মারধর, থানায় অভিযোগ

  • সমগ্র বাংলা
  • ০৪ জুলাই, ২০২২ ১৯:০১:২৬

ছবিঃ সিএনআই

মোস্তাফিজুর রহমান, লালমনিরহাটঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় জমি সংক্রান্ত জের ধরে এক গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে দেবর-ভাসুর,ননদ ও ননদের ছেলের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত

গৃহবধূর রেহানা আক্তার (৩৪) হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এতে মারধরের শিকার হয়েছেন ছেলে  মজাহিদ হোসেন(১৪) ও মেয়ে মোছাঃ জুবাইদা।

এ ঘটনায় রোববার (৩ জুলাই ) রাতে হাতীবান্ধায় থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে  একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে আহত গৃহবধূর স্বামী জিয়ারুল হক।

এর আগে শনিবাব(২ জুলাই) সকালে হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা গ্রামের ৪নং তহশিলদার পাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ৪ নং ওয়ার্ডের তহসিলদারপাড়া এলাকায় মৃত মোহাম্মদ আলী ছেলে জিয়ারুল হক তফসিল বর্ণিত জমি এবং সাব কবরা মুলে জমি ভোগ দখল করে আসছে। গত ২ জুলাই জিয়ারুল হক বাড়িতে না থাকায় তার বাড়ি ভিটের জমিতে একটি টিনের সেট ঘর প্রতিপক্ষ আপন বড় ভাই,বোন এবং ভাগিনা মিলে টিন সেট ঘরটি ভেঙে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। 

এতে তার স্ত্রী রেহেনা আক্তার বাধা দিলে সবাই মিলে তাকে ও তার সন্তানদের  বেধড়ক মারপিট করে। এতে রেহেনা আক্তার গুরুতর আহত হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। 

হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,আহত গৃহবধুর রেহানা আক্তারের  গায়ে বিভিন্ন অংশে প্রায় ১৫ টি সেলাই পড়েছে। বর্তমানের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রেহেনা আক্তার হাসপাতালের বেডে শুয়ে বলেন,আমার ভাসুর, দেবর ননদ ও ননদের ছেলে মিলে আমার বাড়িতে এসে হামলা করে ঘরবাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে এবং   আমার শরীরে ছুরি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। এরপর আমার সন্তানরা আমাকে রক্ষা করতে গেলে তারা আমার সন্তানকে ও মারধর করে। 

গৃহবধূ রেহেনা আক্তার এর স্বামী জিয়াউল হক বলেন,আমি বাড়িতে না থাকায় সেই সুযোগ বুঝে আমার বড় ভাই ছোট ভাই বোন মিলে আমার বউকে ধারালো ছুরি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় কোপ দিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। 

অভিযুক্ত শফিয়ার রহমান পিন্টু (৫৫) বলেন,আমরা তাকে মারধর করিনি সে নিজে নিজে হাত কেটে  হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আমরা তাকে মারপিট করিনি। 

হাতীবান্ধা থানা পুলিশের  উপ-পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম জানান,ঘটনার তদন্ত গিয়েছি পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।ঘটনাটি আবারও তদন্ত করা হবে।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এরশাদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার তদন্ত করা হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

 

 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo