• সমগ্র বাংলা

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অপচেষ্টার অভিযোগ

  • সমগ্র বাংলা
  • ৩০ জুন, ২০২২ ০০:০৫:০৯

ছবিঃ সিএনআই

তোফাজ্জল হোসেন,পাবনাঃ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সরকারি খাস পুকুর দখল করে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে সরদার আবুল কালাম আজাদ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আজাদ ভাঙ্গুড়া উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। 

উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পাথরঘাটা গ্রামে মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাতে এই ঘটনা ঘটে। পরে ঐ সম্পত্তির বর্তমান দখলদার আফসার আলী থানায় খবর দিলে পুলিশ কাজ বন্ধ করে দেয়। পরদিন বুধবার আফসার আলী থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।

লিখিত অভিযোগ ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পাথরঘাটা গ্রামে সরকারী খাস সম্পত্তি রয়েছে ২৮ শতাংশ। সম্প্রতি ঐ খাস সম্পত্তি দখলে নিতে চেষ্টা শুরু করে উপজেলা আ.লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদ। ইতোমধ্যে তিনি তার লোকজন নিয়ে সেখানে থাকা বেশ কিছু ফলজ গাছ কেটে ফেলেছেন। কারন হিসেবে তিনি বলেছেন স্থানীয় মসজিদ ও জয় বাংলা ক্লাবের উন্নয়নের জন্য সেখানে মার্কেট নির্মান করা হবে। দেড়যুগ আগে প্রতিষ্ঠিত এই ক্লাবের কোনো রেজিস্ট্রেশন নেই। গত ২৫ জুন আফসার আলী বাড়িতে না থাকার সুযোগে তিনি ঐ স্থানের সকল ফলজ ও বনজ গাছ কেটে পরিষ্কার করেন। এরপর মঙ্গলবার (২৮ জুন) গভীর রাতে লোকজন নিয়ে মার্কেট নির্মানের প্রাথমিক কাজ শুরু করেন তিনি। বিষয়টি দেখতে পেয়ে ঐ সম্পত্তির বর্তমান ভোগদখলকারী সাবেক চেয়ারম্যান আফসার আলী বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান। এরপর ভাঙ্গুড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফয়সাল বিন আহসান সেখানে উপস্থিত হয়ে কাজ বন্ধ করে দেন।

এ সময় তিনি বলেন, সরকারী খাস জমিতে স্থাপনা নির্মান করতে হলে উপজেলা পরিষদ সহ যে সকল দপ্তরের অনুমতি প্রয়োজন হয় সে গুলো সংগ্রহ করে নির্মান করতে। এরপর যদি কেউ পুনরায় নির্মান চেষ্টা করে তাকে আইনের আওতায় নেয়া হবে।

অভিযোগের বিষয়ে আ.লীগ নেতা সরদার আবুল কালাম আজাদ গনমাধ্যমকে বলেন, অনেকদিন আগে এখানে নামকা ওয়াস্তে একটা ক্লাব প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিলো। এখন গ্রামের মানুষ ও মসজিদ কমিটি মিলে এখানে মার্কেট করতে চাচ্ছে তাই জায়গা পরিষ্কার করা হয়েছে। তবে তিনি স্বীকার করেন এখানে মার্কেট নির্মানের কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি। তবে জমি দখলের অপচেষ্টার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।

অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ হাসান খান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়ছিল। সেখানে সবাইকে কোনো ধরনের স্থাপনা গড়তে নিষেধ করা হয়েছে। তারপরও কেউ যদি স্থাপনা করতে যান তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo