ফাইল ছবি
নিউজ ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমায় আগামী দু-একদিনের মধ্যে দেশেও সেটি কমে আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ।
রোববার (২৬ জুন) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) দ্বাদশ মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যসচিব বলেন, তেলের দামের ক্ষেত্রে আগামী দুই একদিনের মধ্যে একটা সুখবর আসতে পারে। আশা করছি, তেলের দাম কমবে। এখন সেই হিসাব-নিকাশ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ট্যারিফ কমিশন তেল রিফাইনারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করে আমাদের জানাবে। তারপর আমরা জানাতে পারবো, কত টাকা কমবে। তবে বলা যায় যে, তেলের দাম কমবে।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের বেশি হয়েছে জানিয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ করে তেলের দামের ক্ষেত্রে আমরা এখন হিসাব-নিকাশ করছি। তার একটা প্রতিফলন আগামী দুই একদিনের মধ্যে দেখা যাবে।
তিনি আরও বলেন, ট্যারিফ কমিশন প্রথমিকভাবে তথ্য নিয়ে মিল মালিক বা প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে (আলোচনা করে)। সেখান থেকে রিপোর্ট আসার পর বাণিজ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে ঘোষণা দেওয়া হয়। এটা গোপনীয়তার কিছু নেই বা আমরা ঘটা করে জানাইও না। সংবাদ সম্মেলন করে আপনাদের সেটা জানানো হয়।
‘আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের দাম কমে গেছে। এই তেল প্যারাগুয়ে, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে আমাদের দেশে আসে। সেখান থেকে তেল আসতে কমপক্ষে ৪৫ থেকে ৬০ দিন লেগে যায়। এখানে সময়ের একটি গ্যাপ রয়েছে। তাই চাইলেও দেশের বাজারে তাৎক্ষণিক দাম কমানো যায় না।’
‘তবে সুখবর হলো ইন্দোনেশিয়া থেকে এখন কিছু তেল আসে। সেখান থেকেও আসতে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে, আবার ডলারের দামও বেড়েছে। সেটাও মাথায় রাখতে হবে। এই দুটি বিষয় সমন্বয় করে দাম নির্ধারণ করা হবে।’
‘তেলের দাম কমলেও সবাই জানবেন, বাড়লেও জানবেন। সরকারিভাবে আমরা দাম বাড়ানো বা কমানোর ক্ষেত্রে একই ফর্মুলা ব্যবহার করি। অনেক সময় সরকার বাড়ানোর আগেই খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয়। সেজন্যই ভোক্তা অধিকার ও জেলা প্রশাসন কাজ করেন। বিক্রেতারা কোথায় দাম বেশি নেন, সেটা তারা দেখেন।’
তেলের দাম বাড়ানোর সময় ব্যবসায়ীদের যে তোড়জোড় দেখা যায় কমানোর সময় সেটি থাকে কী না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিক্রেতা সবসময় বেশি দাম দিয়ে বিক্রি করতে চায়, আর ক্রেতা কম দামে কিনতে চায়। এর জন্য এ ধরনের আচরণ দেখা যায়। আর সেজন্যই সরকার হস্তক্ষেপ করে। যেকোনো পণ্যের যোগান ও সরবরাহ দিয়ে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ হয়। আর এটাই স্বাভাবিক নিয়ম।
নড়াইল প্রতিনিধঃ আজ ২৫ এপ্রিল ২০২৪ (বৃহস্পতিবার) নড়...
গাজীপুর প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের কোনাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের ৬ দিন মে...
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতদের হামলা...
মন্তব্য ( ০)