• আন্তর্জাতিক
  • লিড নিউজ

ইউক্রেনকে প্রার্থী মর্যাদা দিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন

  • আন্তর্জাতিক
  • লিড নিউজ
  • ২৪ জুন, ২০২২ ১৫:১৩:৪০

ছবিঃ সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য প্রার্থীর মর্যাদা পেয়েছে ইউক্রেন। ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেল এই ঘোষণা দেন। এই সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন ইউরোপীয় নেতারা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ইউক্রেনের সদস্য প্রার্থী মর্যাদা দেওয়ার কথা জানান ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল।

চার্লস মিশেল বলেন, “এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আজ ইইউ-এর দিকে আপনার (ইউক্রেন) পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ চিহ্নিত হয়েছে।”

সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, “৩১ বছর আগে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর ইউক্রেনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই সিদ্ধান্ত। তবে এই সিদ্ধান্ত শুধু ইউক্রেনের স্বার্থে নেওয়া হচ্ছে না। এটি ইউরোপকে শক্তিশালী করার জন্য সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ যা এখনই নেওয়া যেতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “এমন মুহূর্তে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যখন ইউরোপের স্বাধীনতা ও ঐক্যের পরীক্ষা নিচ্ছে রাশিয়া।”

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিচকো আগ্রাসন মোকাবিলা করা নাগরিকদের প্রতি এক আবেগীয় বার্তা দিয়েছেন। টেলিগ্রামে তিনি লেখেন, “এই সুযোগ পেতে আমাদের অতি উচ্চ মূল্য দিতে হয়েছে। হ্যাঁ, ইউরোপীয় পরিবারে যুক্ত হতে আমাদের এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।”

ইইউ সদস্য পদ পাওয়ার প্রাথম আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ হচ্ছে প্রার্থী মর্যাদা পাওয়া। তবে পূর্ণ সদস্য হতে কয়েক বছর লাগতে পারে আর সদস্য প্রার্থী হলেই সদস্য হওয়া যাবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। গত ফেব্রুয়ারি রাশিয়া আগ্রাসন চালানোর কয়েক দিনের মাথায় ইউরোপীয় ইউনিয়নে সদস্য হওয়ার আনুষ্ঠানিক আবেদন জানায় ইউক্রেন। এরপরই তাদের সদস্য প্রক্রিয়া দ্রুত গতিতে শুরু হয়।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, যোগদান প্রক্রিয়া হবে ‘যুক্তি ভিত্তিক’। শর্তাধীন সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হবে না। এসবের মধ্যে রয়েছে আইনের শাসন জোরদার করা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। ২০২২ সালের শেষ দিকে এসব খতিয়ে দেখবে কমিশন।

চারমাস ধরে চলা যুদ্ধে কিয়েভ দখল করে দ্রুত বিজয় অর্জনে ব্যর্থ হয়ে রাশিয়া এখন পূর্ব ইউরোপের নিয়ন্ত্রণে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। সেখানে তীব্র লড়াই চললেও যুদ্ধ অবসানের কোনও ইঙ্গিত মিলছে না। ইউরোপের অন্য অংশে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo