• অপরাধ ও দুর্নীতি

বগুড়ায় ২টি ক্লিনিকে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান: সোয়া লাখ টাকা জরিমানা

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ২৮ মে, ২০২২ ২৩:১১:৩৯

ছবিঃ সিএনআই

সঞ্জু রায়, বগুড়া: বগুড়ায় অনিবন্ধিত ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ পাওয়ায় দুই ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান সিলগালাও করা হয়েছে অভিযানে।শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার মহিলা ক্লাব সড়কে শনিবার বিকেলে এ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাইম।

ভ্রাম্যমানন আদালত সূত্রে জানা যায়, প্রথমে নিউ পল্লী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযানে যায় আদালত। এ সময় নথি ঘেটে দেখা যায় ক্লিনিকটি অনিবন্ধিত। ক্লিনিকের প্যাথলজি বিভাগ থাকলেও তার অনুমোদন ছিল না। এ ছাড়া সেখানে কোনো চিকিৎসককেও পাওয়া যায়নি। ভবনের রান্নাঘরের পাশেই অপারেশন থিয়েটার যেখানেও নোংরা পরিবেশ ছিল।

এই ক্লিনিকের মালিকের নাম রেহেনা রহমান। তবে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। ক্লিনিকের অন্যতম শেয়ার হোল্ডার ও সার্বিক দায়িত্বপালনকারী মো. সোহাগ উপস্থিত ছিলেন। ভ্রাম্যমান আদালতে তিনি তাদের অপরাধ স্বীকার করেন।এসব অপরাধের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত নিউ পল্লী ক্লিনিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করে।  অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ক্লিনিকটি সিলগালা করার রায় দেন ম্যাজিস্ট্রেট নাঈম।
এর পরে একই আদালত এনাম ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করে। এখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রোগীদের চিকিৎসা করার দায়ে ক্লিনিককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দন্ডিত ক্লিনিক মালিকের নাম ডা. এনামুল হক। তিনি শাজাহানপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কনসালটেন্ট।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাঈম। তিনি বলেন, নিউ পল্লী ক্লিনিকের কোনো কিছুরই অনুমোদন নেই। তাদের নিজস্ব কোনো চিকিৎসকও নেই। এ কারণে এক লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হয়েছে। আর এনাম ক্লিনিককে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে ২৫ হাজার টাকা দন্ড দেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, অনিবন্ধিত ক্লিনিক-হাসপাতাল বন্ধের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় থেকে একটি  নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। আগামীতেও এটি অব্যাহত থাকবে।
অভিযান পরিচালনার সময় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. ফারজানুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত ২৯৭টি নিবন্ধিত ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক রয়েছে। এর বাইরে যা রয়েছে সবই অনিবন্ধিত। অভিযানকালে বগুড়া পৌরসভার স্বাস্থ্য পরিদর্শক শাহ আলী ও আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo