ছবিঃ সংগৃহীত
নিউজ ডেস্কঃ চরম অর্থসংকটে জনগণের বিক্ষোভ দমনে জারি করা জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। দেশের প্রেসিডেন্টের ঘোষিত সিদ্ধান্ত ১৪ দিন পর প্রত্যাহার করা হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কলম্বো গ্যাজেট বলছে, দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হলে ৬ মে জরুরি অবস্থা জারি করেন দেশের প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তখন দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়, যা ২০ মে রাতে প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো।
কোভিড মহামারিতে এই দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০১৯ সালের গির্জা বোমা হামলায় পর্যটন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনাকেও দায়ী করেছেন। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ঘাটতি। প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। মুদ্রাস্ফীতির প্রভাবে ওষুধ, জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
দেশের গভর্নর সতর্ক করেছেন, শ্রীলঙ্কায় এপ্রিল মাসে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ২৯ দশমিক ৮ শতাংশ। খাবারের দাম বেড়েছে ৪৬ দশমিক ৬ শতাংশ। উচ্চ মূল্যস্ফীতির হার আরও বাড়তে পারে। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি প্রায় ৩০ শতাংশ। এটি আরও বৃদ্ধি পাবে। মূল্যস্ফীতি আগামী কয়েক মাসে ৪০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছাবে।
দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র ইতোমধ্যে প্রথমবারের মতো ঋণ খেলাপি হয়েছে। শ্রীলঙ্কার অপরিশোধিত ঋণের পরিমাণ ৭৮ মিলিয়ন ডলার। এর সুদ পরিশোধের মেয়াদ বুধবার শেষ হয়েছে। অতিরিক্ত ৩০ দিন সময়ের পরও ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। যেটাকে ‘প্রি-এমপটিভ ডিফল্ট’ হিসেবে দেখছেন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।
দেশটি বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে আছে। বিক্ষুব্ধ জনতা ৯ মে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন টেম্পল ট্রিসের কাছে বিক্ষোভে নামেন। পরে ক্ষমতাসীন দল এসএলপিপির নেতৃত্বে বিক্ষোভে হামলা চালানো হয়। দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও ২৫৬ জন।
২০১৯ সাল থেকে রাজাপক্ষে ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশটির প্রশাসনে রয়েছে। কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে চলছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ।
নিউজ ডেস্কঃ জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযো...
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইরানে ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র হামলার...
মাগুরা প্রতিনিধি: মাগুরায় উফশী রোপা আউশ ধানের আবাদ ও উৎপ...
বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ায় নদীভাঙ্গনের কবলে ...
মন্তব্য ( ০)