• আন্তর্জাতিক

‘আমরা মৃত্যুর মুখে’ লঙ্কানদের আহাজারি

  • আন্তর্জাতিক
  • ২০ মে, ২০২২ ২০:৪৫:৪২

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ চরম অর্থ ও রাজনৈতিক সংকটের কবলে বেসামাল শ্রীলঙ্কা। সঙ্গে দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য সংকট। উৎপাদন ব্যহত হওয়ায় এই সংকট চরম আকারে পৌঁছানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। অর্থ সংকটের মধ্যে ঘাটতি লঙ্কান নাগরিকদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। তারা বলছেন, ‘আমরা এখন মৃত্যুর মুখে আছি।’

গত বছরের এপ্রিলে শ্রীলঙ্কায় সব ধরণের রাসায়নিক সার নিষিদ্ধ করেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। এই সিদ্ধান্তের ফলে ফসলের ফলন মারাত্মকভাবে কমে যায়। যদিও সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। কিন্তু এখনো দেশে সারের উল্লেখযোগ্য আমদানি হয়নি।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “এই ইয়ালা (মে-আগস্ট) মৌসুমের জন্য সার না পাওয়া যেতে পারে। তবে মাহা (সেপ্টেম্বর-মার্চ) মৌসুমের জন্য পর্যাপ্ত মজুদ নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আমি সবাইকে পরিস্থিতি মেনে নেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি।”

বিবিসি বলছে, ঋণের কিছু পরিমাণ বা সম্পুর্ণ পরিশোধ করতে কোনো সরকার ব্যর্থ হলে ‘ডিফল্ট’ ঘটে। এর ফলে যেকোনো দেশের খ্যাতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ ধার পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী কলম্বোতে ফল ও শাকসবজি বিক্রি করেন ৬০ বছর বয়সী নারী এপিডি সুমনাবতি। তিনি রয়টার্সকে বলেন, “আমাদের জীবন কতটা কঠিন হয়ে পড়েছে, তা বুঝানোর কোনো ক্ষমতা নেই। আগামী দুই মাসে পরিস্থিতি কি হবে কিছুই বুঝতেছি না। ব্যবসা হয়তো বন্ধ করে দিতে হবে।”

রান্না করার জন্য গ্যাসের অভাব তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির দোকানের সামনে দীর্ঘ সারি দেখা যায়। দেশে এপ্রিল মাসে সিলিন্ডার প্রতি দাম ছিল ২ হাজার ৬৭৫ টাকা। বর্তমানে দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পি নন্দলাল ওয়েরাসিংহে বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, জ্বালানি ও রান্নার গ্যাস চালানের জন্য বিশ্বব্যাংকের ঋণ ও রেমিটেন্স থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সুরক্ষিত করা হয়েছে। তবে সরবরাহ এখনো স্বাভাবিক হয়নি।

গভর্নর সতর্ক করেছেন, শ্রীলঙ্কায় এপ্রিল মাসে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ২৯ দশমিক ৮ শতাংশ। খাবারের দাম বেড়েছে ৪৬ দশমিক ৬ শতাংশ। উচ্চ মূল্যস্ফীতির হার আরো বাড়তে পারে। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি প্রায় ৩০ শতাংশ। এটি আরো বৃদ্ধি পাবে। মূল্যস্ফীতি আগামী কয়েক মাসে ৪০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছাবে।

 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo