• জাতীয়

দেশে প্রতিদিন ১৯০০ মানুষ মারা যান অসংক্রামক রোগে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  • জাতীয়
  • ১৯ মে, ২০২২ ১৮:৩৩:২০

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ দেশে অসংক্রামক ব্যাধি অনেক বেশি বাড়ছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে প্রতিবছর ১০ লাখ মানুষ স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেন। তার মধ্যে ৭০ শতাংশই (সাত লাখ মানুষ) মারা যান অসংক্রামক রোগে। অসংক্রামক রোগে প্রতিদিন এক হাজার ৯০০ মানুষ মারা যান।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভালো চিকিৎসা দিতে গেলে গবেষণা দরকার। আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার তৎপরতায় সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে আছে। এরই মধ্যে অসংক্রামক রোগ বেড়ে গেছে। এসব বিষয়ে গবেষণার মাধ্যমেই সঠিক নির্দেশনা আসে এবং নীতি ও পরিকল্পনা নিতে সহজ হয়।

তিনি বলেন, দূষণও মৃত্যুর বড় কারণ। এর কারণেই নন কমিউনিকেবল (অসংক্রামক) রোগগুলো বেড়ে যায়। লাইফস্টাইল ও খাদ্যভ্যাসও এর জন্য দায়ী। এছাড়াও মোবাইল ও কম্পিউটার বা টেলিভিশনের স্ক্রিন বেশি দেখার কারণে মানসিক সমস্যা বাড়ছে। এটি ব্যয়বহুল চিকিৎসা। এ কারণে (সরকারি) হাসপাতালে বেশ চাপ পড়ে। এছাড়াও এসব কারণে আত্মহত্যাও বাড়ছে।

মানুষের জীবনে চিকিৎসাসেবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, যে দেশে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভালো নয় সে দেশের কাঠামো সুন্দর হয় না। একটি হাসপাতাল করলে দরকার হয় ডাক্তার, নার্সদের। আর উন্নত সেবা দিতে দরকার হয় গবেষণার। এই গবেষণা আমাদের কাজে লাগবে।

তিনি বলেন, আমাদের ৩৮টি মেডিকেল কলেজ, ৫টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ এগিয়ে গেছে, একইসঙ্গে সমস্যাও বেড়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ সংক্রামক ব্যাধি মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিল। আমরা টিবি, কলেরা, ডায়রিয়া নিয়ে কাজ করেছি। এসব এখন নিয়ন্ত্রণে।

যে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভালো না সে দেশ এগিয়ে যেতে পারে না উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভালো স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রয়োজন অবকাঠামো, ওষুধ, স্বাস্থ্যকর্মী। আরও ভালো সেবা দিতে প্রয়োজন গবেষণা। প্রতিটা দেশ ভিন্ন ভিন্ন সমস্যায় ভুগছে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন। এতে বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর এনায়েত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবীর প্রমুখ।
You sent
 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo