• আন্তর্জাতিক

খাদ্য ঘাটতি মেটাতে এবার ইউক্রেনের বন্দরগুলো মুক্ত করা প্রয়োজন

  • আন্তর্জাতিক
  • ১৯ মে, ২০২২ ১৩:০৬:৩৯

ছবিঃ সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে। দেশে দেশে দেখা দিয়েছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। বেড়ে গেছে জীবনযাত্রার ব্যয়। মানুষের মধ্যে বেড়েছে ক্ষোভ-হতাশা। বিশ্বে খাদ্য চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে রাশিয়া ও ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।

ইউক্রেন এবং রাশিয়া বিশ্বব্যাপী খাদ্যের ১০ ভাগের এক ভাগ সরবরাহ করে। তারা বিশ্বের গম রপ্তানির ৩০ শতাংশের পাশাপাশি সূর্যমুখী তেলের ৬০ শতাংশ উৎপাদন করে। কমপক্ষে ২৬টি দেশ তাদের অর্ধেকেরও বেশি খাদ্যশস্যের জন্য রাশিয়া এবং ইউক্রেনের ওপর নির্ভরশীল।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থা বলছে, যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের ২০ থেকে ৩০ শতাংশ জমি ২০২২ সালের মৌসুমে অনাবাদি বা চাষের আওতার বাইরে থেকে যাবে। সম্প্রতি জি-৭ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ইউক্রেনের বন্দর রাশিয়া দ্বারা অবরুদ্ধ থাকা এবং খাদ্যশস্য রপ্তানি আটকে থাকার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। যদিও রাশিয়ান কৃষকরা এখনও উৎপাদন করতে পারছেন। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

যুদ্ধকে কেন্দ্র করে মস্কোর ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেনের বন্দরগুলো অবরোধ করে রেখেছে রাশিয়া। ফলে ইউক্রেন থেকে অন্য কোনো দেশে খাদ্যপণ্য সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এতে বিশ্বজুড়ে খাদ্যের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। তাই প্রশ্ন ওঠেছে কীভাবে ইউক্রেনের বন্দরগুলো মুক্ত করা যায়।

ইউক্রেনের বৃহত্তম বেসরকারি শিপিং-টার্মিনাল অপারেটর ও ট্রান্সইনভেস্ট সার্ভিসের মালিক আন্দ্রেই স্ট্যাভনিটসার বলেন, ইউক্রেনের শস্য রাখার গুদামগুলো সম্পূর্ণ ভর্তি হয়ে গেছে। এখানে এক বছরের ফসল ধরে রাখার মতোও যথেষ্ট জায়গা নেই। যদি এগুলো সংরক্ষণ করা না যায় তাহলে শিগগির নষ্ট হতে শুরু করবে। অন্যদিকে রাশিয়া তাদের পণ্য কৃষ্ণ সাগর দিয়ে রপ্তানি করতে পারছে। এই মুহূর্তে ইউক্রেনের ওডিশা বন্দরটি অবরোধ থেকে মুক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এ বিষয়ে ট্রেন ও সড়ক ব্যবহারের মাধ্যমে বিকল্প খুঁজছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কিন্তু এ পথে ইউক্রেনের রপ্তানির সামান্যই সরবরাহ করা সম্ভব হবে। ইউক্রেনের শস্যের সিংহভাগ বের করতে হলে অবশ্যই সমুদ্র পথকে ব্যবহার করতে হবে। তবে এটা কীভাবে সম্ভব? কিছু লোক এখন ওডিশা ও আশেপাশের বন্দরগুলো থেকে পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে নৌ বাহিনীর বহর ব্যবহারের কথা বলছেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo