ঈদের ছুটিতে পারকি সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ঢল

ছবিঃ সিএনআই

কোরবান আলী টিটু ,আনোয়ারা (চট্টগ্রাম): ঈদের টানা ছুটিতে চট্টগ্রামের জনপ্রিয় আনোয়ারা পারকি সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের পদচারণায় ভরপুর। পর্যটকেরা ঈদের আনন্দ ও সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে আসেন সৈকতের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখার জন্য। পর্যটকদের পদচারণায়  মুখরিত হয়ে উঠেছে এ সমুদ্র সৈকত। এতে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে প্রাণচাঞ্চল্য। পর্যটকের আগমনে ব্যস্ত সময় পার করছেন সৈকতের ফটোগ্রাফার, ঘোড়াওয়ালা ও রিসোর্ট ব্যবসায়ীরা।

শুক্রবার (৬ মে) বিকালে সৈকতে দেখা যায়, পর্যটকরা সৈকতে নেমে গোসল করছেন। আরও অনেকেই বালুচরে দৌড়-ঝাঁপে ব্যস্ত। কেউ কেউ ঘোড়া,আর কেউ দোলনা,আর কেউ কেনাকাটায় ব্যস্ত। আবার অনেকে বিশাল সমুদ্রে সৈকতের এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বাইক নিয়ে দুরন্ত গতিতে ছুটে চলেছেন। আবার কেউ মুগ্ধ হচ্ছেন ছেলেমেয়েদের ঢেউয়ের তালে সমুদ্র স্নানের দৃশ্য দেখে। করোনা মহামারির কারনে দুবছর ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে না পারায় এবারের ঈদ একটু যেনো আলাদা উপভোগ করেছেন। পারকি সমুদ্র সৈকত পরিণত হয়েছে উৎসবের নগরীতে। আনন্দে মাতোয়ারা পর্যটকরা পাল্টে দিয়েছে সৈকতে দৃশ্যপট। তিল ধারণের ঠাঁই নেই সৈকতে। দলে দলে নামছেন তারা।

শহর থেকে বেড়াতে আসা মোহাম্মদ সরোয়ার বলেন, ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে পারকি সৈকতে ছুটে আসা। আমাদের কাছে ঘুরে বেড়ানো প্রিয় স্থান এ সৈকত। এখানে খুব ভাল লাগে আমাদের তাই প্রতিবার ই ঘুরতে আসা হয়।জাহাজটি কেটে ফেলাই সমুদ্র সৈকতের রূপ ফিরে এসেছে।

ফটোগ্রাফার মামুন বলেন, ‘ঈদের দিন বিকাল থেকেই সৈকতে হাজার হাজার পর্যটক। এই মৌসুমে মনে হয় সবচেয়ে বেশি পর্যটক এই সময়ে এলো। পর্যটকদের ছবি তুলে ভাল আয়ও হচ্ছে। ফলে আমাদের ব্যবসাও ভাল হচ্ছে।’

এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সমুদ্র সৈকত ও সড়কগুলোতে পুলিশের অবস্থান দেখা যায়। 

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি দুলাল মাহমুদ বলেন ‘পর্যটকদের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি পয়েন্ট,পর্যটন স্পট ও সড়কে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। ফলে আগত পর্যটকরা নিরাপদে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।’ সুতরাং পর্যটকরা হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা নাই। পর্যটকদের হয়রানির অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’