আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটে কর্মস্থলমুখী মানুষের চাপ বাড়ছে

ছবিঃ সিএনআই

মানিকগঞ্জ  প্রতিনিধিঃ  আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটে  কর্মস্থলমুখী মানুষের চাপ বাড়ছে। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। এতে  ঢাকার নবীনগর, সভার ও আশুলিয়াসহ আশপাশের এলাকার কর্মমুখী মানুষ বাড়তি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে পৌচাচ্ছে। তবে এবার পর্যাপ্ত যানবাহন থাকায় ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্যে যেতে পারছে। এসব যাত্রীরা ফেরি ও লঞ্চে করে রাজবাড়ির দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়া এবং পাবনার কাজিরহাট থেকে আরিচা ঘাটে আসছে। এরপর এরা বিভিন্ন পরিবহনে করে গন্তব্যের দিকে চলে যাচ্ছেন।

শুক্রবার (৬ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত  সরেজমিনে আরিচা ও পাটুরিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাট এলাকায় যাত্রীদের ভিড়  দেখা গেছে।

কাজিরহাট ও দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত তাদের আসতে সড়কে তেমন ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। এরপরই ফেরি বা লঞ্চে করে ভোগান্তি ছাড়াই পাটুরিয়া ফেরিঘাট আসতে পারছে। ঘাট এলাকায় বিআইডব্লিউটিএর পুরোনো টার্মিনাল থেকে লোকাল বাসের চালক ও সহযোগীরা এসব কর্মমুখী যাত্রীকে নিয়ে ছুটছেন।

এদিকে যাত্রীদের কাছ থেকে বাসের চালক-সহযোগীরা যাতে অতিরিক্ত ভাড়া নিতে না পারেন এবং যাত্রী হয়রানি রোধে ফেরিঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ রয়েছে ঘাট এলাকায়

 বাস মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বিআইডব্লিউটিএর পুরাতন টার্মিনাল থেকে ঢাকা, চিটাগাং রোড এবং গাজীপুর রোডের গাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে সেলফি পরিবহন ঢাকার গাবতলী, নীলাচল এক্সপ্রেস চিটাগাং রোড, উনিশে পরিবহন গাজীপুর পর্যন্ত। 

গাবতলী পর্যন্ত যাত্রীপ্রতি ভাড়া ২০০ টাকা, নীলাচলে চিটাগাং রোড নিচ্ছে ২৫০ টাকা আর গাজীপুর ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা ভাড়া যাত্রীপ্রতি। এসব রোডের বাসের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। তবে কোনো যাত্রী কাছে থেকে দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি বাস মালিক সমিতি কর্তৃপক্ষের।

এদিকে আরিচা ঘাট থেকে গাবতলী পর্যন্ত  যাত্রী প্রতি ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছে।

আরিচা ঘাটে কথা হয় যাত্রী কালাম এর সাথে তিনি বলেন, ঢাকার  একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে  কাজ করি।

পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ি গেছিলাম। গত রাতে মালিক  ফোন করে বলেন কাজে যোগ দেওয়ার জন্য। তাই সকালে পরিবার নিয়া রওনা হয়ে এ পর্যন্ত এসেছি। তবে সড়কে এবং ফেরিতে পার হতে কোনো ভোগান্তি হয়নি। 

আরেক যাত্রী মান্নান মিয়া বলেন, আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করি। রবিবার কারখানা খুলবে। তাই ভোগান্তি এড়াতে আগেই পরিবার নিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছি। ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ পাটুরিয়া বেড়ে গেলে বাসের ভাড়াও বেড়ে যায়। মোটকথা ভোগান্তি এড়াতে আর নিয়মিত বাস ভাড়াতেই কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য আজকে রওনা হয়েছি।

ভাড়া বেশি নেওয়ার বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেলফি পরিবহনের এক চালক বলেন, নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে   ৫০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। কোনো বাসের চালক ও সহকারী যাত্রীদের কাছে থেকে দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে না। ঢাকা থেকে খালি গাড়ি নিয়া আসতে হয় । তাই ৫০ টাকা করে বেশী নেওয়া হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের বাণিজ্য শাখার উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে ২০টি ফেরি চলাচল করছে। আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ৩টি ফেরি চলাচল করছে। আজ (শুক্রবার) সকাল থেকে আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটে মানুষের চাপ কিছুটা বাড়ছে।