• শিক্ষা

বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিসিএস মিথ্যাচারের অভিযোগ

  • শিক্ষা
  • ২৬ এপ্রিল, ২০২২ ২০:৩৯:০৬

ফাইল ছবি

মেজবা রহমান,বশেমুরবিপ্রবিঃ গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিসিএস (পুলিশ)ক্যাডার এ সুপারিশপ্রাপ্ত নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম বিপ্লব কুমার দাস। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের (২০১৪-১৫) শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী।

সম্প্রতি,৪০ তম বিসিএস এ বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হলে অভিযুক্ত বিপ্লব কুমার দাস নিজেকে পুলিশ ক্যাডার এ সুপারিশপ্রাপ্ত বলে দাবি করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকেই তাকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানোর পাশাপাশি তাকে নিয়ে পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়৷ এরপরই ব্যাপারটা সকলের নজরে আসে৷ তার এ ক্যাডার হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তার বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী। 

তাদের অভিযোগ, বিপ্লব কুমার দাস এর আগেও বিভিন্ন পরীক্ষা (ব্যাংক-মন্ত্রণালয়ের চাকরি) পেয়েছেন বলে ভুয়া খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়েছেন। এ বিষয়গুলোর সত্যতা যাচাই করতে তার সহপাঠীরা তাকে প্রশ্ন করলে সে বাজে ব্যবহার করত। এমনকি তার বিসিএসের এডমিড কার্ড দেখতে চাইলেও সে বাজে ব্যবহার করে। বিষয়টি তার সহপাঠীর অনেকেই জানেন।

এ প্রসঙ্গে অভিযোগকারী লোক প্রশাসন বিভাগের ১ম ব্যাচের শিক্ষার্থী চঞ্চল দাস বলেন,  “দেশ সেরা চিটার, বাটপারের নাম উল্লেখ করলে বিপ্লব কুমারকে বস মানতে হবে৷ আরে ভাই যে প্রিলি না টিকে সে কিভাবে ক্যাডার হয়, তাও আবার পুলিশ ক্যাডার, সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে বশেমুরপ্রবিতে পড়ে, এনএসআই, অডিটর চাকরি পায় কিন্তু জয়েন করে ছেড়ে দেয়, তার বন্ধুরা তার এডমিট কার্ড দেখতে চাইলে বলে মানহানির মামলা করবে৷”

তিনি আরও জানায়, “এসব ব্যাপার আগে যাচাই করে নেয়া উচিত৷ সত্যতা যাচাই না করলে এমন অনেকে ভুয়া খবর ছড়াবে৷”

এব্যাপারে অভিযুক্ত বিপ্লব কুমার দাসের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি “এডমিট কার্ড সময় হলে দেবো৷ দুই একদিন পর দিচ্ছি৷ কাজে ব্যস্ত আছি৷ এখন পড়ছি৷” এমন কথা বলে এড়িয়ে যায়৷ এবং পরবর্তীতে তার সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে বার বার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও তিনি কারোর ফোন রিসিভ করে না৷ 

এই বিষয়ে সদ্য ৪০ বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের সুপারিশ প্রাপ্ত শাহ আলম সজল বলেন, “বিপ্লব কুমারকে ব্যক্তিগতভাবে আমি চিনি না। আমি একটা পোষ্টের মাধ্যমে ওর সম্বন্ধে জানতে পেরেছি।  প্রথমত জেনে খুশি হয়েছিলাম,তবে ওর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো জানতে পেরে আমি খুব ব্যথিত হয়েছি।”

এসময় তিনি আরও বলেন, অবৈধ অভিযোগ জানতে পেরে আমি আমাদের ৪০ বিসিএসের গ্রুপে  তার নাম খুঁজে পায়নি এবং আমি এটা জানতে পেরেছি সে কোন লাইভ প্রোগ্রামে আসতে চাই না।  যদি এ ঘটনা সত্য হয় তাহলে বিপ্লব বিশ্বাসকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং ছাত্রছাত্রীদের মানহানি করার জন্য জবাবদিহি করা উচিৎ। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী উপদেষ্টা ড. সরাফত আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “আমি এ বিষয়ে এখনও অবগত নই। তবে বিপ্লব কুমার যদি বিসিএস এর মত একটা ভাইটাল পরীক্ষা নিয়ে বা নিয়োগ নিয়ে মিথ্যাচার করে থাকে তবে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে"।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo