• শিক্ষা
  • লিড নিউজ

বশেমুরবিপ্রবিতে স্থাপত্য বিভাগের ঘুড়ি উৎসব- উড়াল

  • শিক্ষা
  • লিড নিউজ
  • ১৪ এপ্রিল, ২০২২ ২৩:৪৭:৫৯

ছবিঃ সিএনআই

মেজবা রহমান, বশেমুরবিপ্রবিঃ আজ পহেলা বৈশাখ, বাংলা ১৪২৯। ১৪২৮ সালকে বিদায় জানিয়ে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বছর। পর পর দুই বছর করোনা মহামারীর কারনে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও এবার গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) নববর্ষ উপলক্ষে স্থাপত্য বিভাগের উদ্যোগে প্রথমবারের আয়োজন করা হয়েছে ঘুড়ি উৎসব “উড়াল”৷

প্রায় একশতাধিক ঘুড়ির ব্যাবস্থা করা হয় এখানে৷ ঘুড়ি উৎসব “উড়াল” এ অংশগ্রহন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অনেকে৷ 

এব্যাপারে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আকাশ মন্ডল বলেন, “পহেলা বৈশাখ উদযাপন বাঙালী সংস্কৃতির সঙ্গে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। এরকম একটা দিবসে ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করাটা আসলে দারুণ একটা উদ্যোগ। ঘুড়ি উড়ানো ব্যাপারটা আমাদের শৈশবে রাঙিয়ে আসা রঙ্গিন মুহূর্ত গুলোকে খানিকটা মনে করিয়ে দেয়। ব্যক্তিগতভাবে এরকম কর্মসূচি আমার খুবই ভালো লেগেছে এবং আমি স্থাপত্য বিভাগকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”

ঘুড়ি উৎসব আয়োজন সম্পর্কে স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থী পার্থ ঘোষ বলেন, “নববর্ষের আমেজ বাঙালিদের মধ্যে নানা রকম ভাবে ছড়িয়ে পড়ে অনেক ধরনের উৎসবের মাধ্যমে। ঘুড়ি উৎসব তার মধ্যে অন্যতম এবং এটি বাঙালি জাতির শতবছরের ঐতিহ্য বহন করে আসছে।আমাদের এই ছোট্ট আয়োজনটি সেই ঐতিহ্যেরই বহিঃপ্রকাশ। 

তিনি আরও বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য ঘুড়ি উৎসব এর মধ্যদিয়ে আমরা বিগত সকল গ্লানি মুছে নব সূচনার আবির্ভাব ঘটাতে পারব এবং নবীনদের মনে নব উল্লাশের আগমন ঘটাতে পারব। সকলের একত্বা সংকল্প এবং মেলবন্ধন আগামী দিনগুলো আরো সুন্দর ও সৃষ্টিশীল করবে।এজন্য এই বছর আমাদের বিভাগ থেকে প্রথমবারের মতো ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করেচ্ছি।এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষাথীর মাঝে নতুন উন্মাদনা সৃষ্টি হয়েচ্ছে।এই অভিপ্রায় নিয়ে প্রতিবছর এই উৎসব আপনাদের সকলকে নিয়ে করতে চাই।”

স্থাপত্য বিভাগের সভাপতি ড. এটিএম সাইফুল ইসলাম বলেন, “করোনার দীর্ঘ বন্ধের পর শিক্ষার্থীদের আগ্রহের প্রেক্ষিতে আমরা এ উৎসবের আয়োজন করেছি৷ সকলেই এখানে অংশগ্রহন করছে দেখেও ভাল লাগছে৷”

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo