ছবিঃ সিএনআই
হাসান জাবেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: আজ বাঙালির উৎসব ও আনন্দের দিন (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ। কিন্তু ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক বাহিনী আশুগঞ্জের শতাধিক নিরীহ লোককে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। পহেলা বৈশাখ বরণে বাঙালি জাতির জন্য দিনটি আনন্দের। তবে এই দিনটি আশুগঞ্জবাসীর জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক। প্রতিবছর এই দিনটিকে আশুগঞ্জবাসী বেদনার দিন হিসেবেই পালন করে আসছে।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৭১ সালের ১৪ এপ্রিল ভোরে পাক বাহিনী আধুনিক সমরাস্ত্রে সু-সজ্জিত হয়ে আশুগঞ্জের খাদ্য শস্য সাইলোতে ইস্টার্ন জোনের হেড কোয়ার্টার স্থাপনের লক্ষ্যে হেলিকপ্টারে করে প্রায় ৫ হাজার সৈনিক অবতরণ করে। এখান থেকে পাকবাহিনী ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় তাদের অপারেশন পরিচালনা করেন।
১৪ এপ্রিল পাক সেনারা আশুগঞ্জের সোহাগপুরে হেলিকপ্টার যোগে অবতরণ করে। হেলিকপ্টার থেকে নেমে প্রথমে তারা আশুগঞ্জ বাজারে আসার পথে সোহাগপুরে হামলা চালায়। পাকবাহিনীকে প্রতিরোধ করতে চেষ্টা করে বেঙ্গল রেজিমেন্টের দুটি ব্যাটালিয়ন। কিন্তু তাদের সঙ্গে টিকতে না পেরে পিছু হটে ভারতীয় সীমান্তে ও হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়ায় চলে যায় বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্যরা।
পরবর্তীতে পাক বাহিনীর সদস্যরা দুপুরের মধ্যেই আশুগঞ্জ বন্দর দখল করে সোনারামপুর, ধানের আড়ত, মাছ বাজার, রেল গেট, রেল স্টেশন, বড়তল্লা, খোলাপাড়া, লালপুর, চরচারতলা গ্রামের নিরীহ লোকজনকে আটক করে নিয়ে আসে। পরে সাইলোর কাছে মেঘনা নদীর উপর নির্মিত রেল সেতু, ধানের আড়তের মাঠ, মাছ বাজার, রেল স্টেশনসহ আশুগঞ্জের ৫টি স্পটে ব্রাশফায়ার করে তাদের হত্যা করা হয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সেসব স্মৃতি মনে হলে এখনো গা শিউরে ওঠে। এইদিনটিকে কেন্দ্র করে আসলে কোনো কিছুই করা হয় না। তবে ১৯৭১ সালের এই দিনে আমাদের আশুগঞ্জে প্রায় ৭০-৮০ জন পাক হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হয়েছেন। আমরা চাই এইদিনটিকে স্বীকৃতি দেয়া হোক।
জব ডেস্কঃ সীমান্ত ব্যাংক পিএলসিতে ‘ব্রাঞ্চ ম্য...
পাবনা প্রতিনিধিঃ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পাবনার ঈশ্...
নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলে আন্ত:জেলা মোটরসাইকেল চোর চক...
ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুর জেলা পরিষদের এক কর্মকর্তা...
মন্তব্য ( ০)