• বিশেষ প্রতিবেদন

চাটমোহরে লিচুগাছ মুকুলে ছেয়ে গেছে

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ০৮ মার্চ, ২০২২ ১৩:২৪:৪১

ছবিঃ সিএনআই

পাবনা প্রতিনিধিঃ মাঘের শেষ সময়ে লিচুগাছে মুকুল আসতে শুরু করে। তবে এবার মৌসুমের শুরুতে শীতের প্রকোপ কম থাকা এবং শেষ সময়ে শীত পড়ায় পাবনার চাটমোহরে লিচু গাছে মুকুল এসেছে দেরীতে। ফাল্গুনের শেষ ভাগে কৃষি বিভাগ জানাচ্ছে, এখনো ৩০ শতাংশ লিচুগাছে মুকুল আসা বাকি। লিচু চাষীরা এখন লিচু বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত।

লিচু গ্রাম বলে খ্যাত উপজেলার গুনাইগাছা, রামচন্দ্রপুর, মন্ডলপাড়া, বড় শালিখা, জালেশ্বর সহ আশপাশের গ্রামের বাগানগুলেঅ লিচুর মুকুলে ছেয়ে গেছে। এছাড়াও উপজেলার হরিপুর, ধরইল, বোঁথর, মথুরাপুর, খয়েরবাড়িয়াসহ অন্যন্য এলাকার গাছগুলোতে লিচুর মুকুল উঁকি দিচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবার পরবর্তী আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত মৌসুমের মতোই লিচুতে লাভবান হবেন কৃষকেরা। এবার লিচুর হার্ভেস্টিং সময় আর ঈদুল ফিতর কাছাকাছি সময়ে পড়বে। সবকিছু ঠিক থাকলে রমজান মাসের শেষ ভাগে ইফতারিতে দেখা মিলবে টসটসে রসাল লিচুর, এমনটিই জানাচ্ছেন চাষিরা।

লিচুর গ্রাম বলে খ্যাতি চাটমোহরের রামচন্দ্রপুর গ্রামের চাষী মাহাতাব হোসেন জানান, প্রতিটি গাছেই লিচুর মুকুল এসেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকবে ও ভালো ফলন হবে। এ উপজেলায় চাষ হয় চায়না থ্রি, বোম্বাই, কাঁঠালি ও স্থানীয় জাতের লিচু। উপজেলার সব এলাকায় কমবেশি লিচুর চাষ হয়। তবে সবচেয়ে বেশি চাষ হয় রামচন্দ্রপুর, জালেশ্বর, গুনাইগাছা, মন্ডলপাড়া, হরিপুর, ধরইল, ধুলাউড়ি, বড় শালিখা, বড় গুয়াখড়া এবং মূলগ্রামে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চাটমোহরে ২ হাজার হেক্টরের মতো জমিতে লিচুবাগান রয়েছে। বসতবাড়ির উঠানসহ বাড়ির আশপাশেও অনেক লিচু গাছ আছে।

গত রবিবার (৬ মার্চ) উপজেলার রামচন্দ্রপুর, জালেশ্বর ও গুনাইগাছা গ্রামে গিয়ে দেখা যায় প্রায় সকল গাছেরই লিচুর মুকুল। লিচুচাষি আ. হাই বলেন, প্রায় সব গাছেই মুকুল-কচিপাতা এসেছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মুকুলের আধিক্য। এই কৃষক জানালেন, গত বছর করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও এ অঞ্চলে প্রায় ৩ কোটি টাকার লিচু বিক্রি হয়েছে।

অন্যদিকে লিচুচাষি নুরুল ইসলাম বলেন, ৩০ গাছ নিয়ে একটি বাগান আছে তাঁর। বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাপারীরা এখন বাগান কেনার জন্য আসছেন। মুকুল দেখেই তারা বাগান কিনছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুমবিল্লাহ বলেন, মুকুল ছাড়ার আগে গাছের গোড়ায় পানি দেওয়া হলে কিংবা বিষ প্রয়োগ করলে গাছ কচিপাতা ছাড়ে। মুকুল থেকে গুটি হতে শুরু করলে হপার পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে একবার বিষ প্রয়োগ করতেই হয়। মুকুল দেরিতে এলেও ফলন সন্তোষজনক হবে বলে আশা করছেন তিনি। চাটমোহরে প্রতিবছরই লিচুর আবাদ বাড়ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo