• বিশেষ প্রতিবেদন

সাতকানিয়ার সর্বত্র আমের মুকুলের মৌ মৌ ঘ্রাণ

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ১৭:২০:৫৯

ছবিঃ সিএনআই

সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ পল্লী কবি জসীম উদ্দিনের ‘মামার বাড়ি’ কবিতার বাস্তব রূপ দেখা পেতে বাকি রয়েছে আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ। ইতিমধ্যে গাছে গাছে ফুটেছে আমের মুকুল। সাতকানিয়া উপজেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে আমের মৌ মৌ গন্ধ। মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করে। পাশাপাশি মধুমাসের অগ্রিম বার্তা শোনাচ্ছে আমের মুকুল।

সাতকানিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকাতে ঘুরে দেখা যায়, আম গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই মুকুল। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেঁয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ।

এদিকে মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলো। তবে উপজেলার গ্রামাঞ্চল গুলো ঘুরে দেখা যায় বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। সেই মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ ছাড়িয়ে পরেছে চারদিকে।

রঙিন বন ফুলের সমারোহে প্রকৃতি যেমন সেজেছে বর্ণিল সাজে। আমের মুকুলে ভরপুর আর ঘ্রাণে সাতকানিয়া উপজেলায় সর্বত্র জানান দিচ্ছে বসন্তের অগ্রিম বার্তা। শোভা ছড়াচ্ছে নিজস্ব মহিমায়। মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে বাগানগুলো প্রায় ৮০ শতাংশ গাছেই এসেছে মুকুল।

সাতকানিয়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রতিটি বাড়িতেই কমবেশি আমগাছ রয়েছে। অনেকের বাড়ির ছাদেও উন্নত জাতের আম গাছের চারা লাগিয়ে পরিচর্যা করে প্রতি মৌসুমেই আম পাচ্ছেন। আবার অনেকে বারোমাসি আমগাছও লাগিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রাকৃতিক কারণেই এবার আগেভাগেই আম গাছে মুকুল এসেছে।

এই বিষয়ে সাতকানিয়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, সাতকানিয়া উপজেলার বিরাজমান আবহাওয়া ও মাটি আম চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আমের উৎপাদন বিগত বছরের তুলনায় অনেক বেশি পাওয়ার আশা করা যাচ্ছে। আবহওয়া অনুকূলে থাকায় এবার গাছে খুব একটা কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন নেই। 

 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo