মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার কৃষক মো: আব্দুল খালেকের একতলা বসত বাড়িটি দেখে মনে হবে তা দখল করে নিয়েছে মৌমাছির দল। মৌমাছি বাড়ি দখল করলেও মৌমাছির চাক থেকে প্রতি বছর মধু বিক্রি করে ১ লক্ষ টাকা আয় হলেও এবার বাড়িতে মৌচাকের সংখ্যা কম থাকায় অর্ধ লক্ষ টাকার মতো আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
এক তলা বাড়িটির ছাদের সিলিং, জানালার কার্নিশ জুরে মৌমাছির চাক বা বাসা। বাড়ির দুই পাশে যে খানে জায়গা পেয়েছে সেখানের বাসা বেধেছে মৌমাছিরা। বর্তমানে বাড়িটিতে রয়েছে ১৫টি মৌচাক। এলাকায় মধু বাড়ি বলে পরিচিতি পেয়েছে বাড়িটি।
এমন বাড়িটির দেখা মিলবে সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি ইউনিয়নের বাগবাড়ি শিমুলিয়া গ্রামে। গত ৬ বছর ধরে এই বাড়িটিতে বাসা বাঁধছে মৌমাছি গুলো।
তবে অবাক করার বিষয় হচ্ছে মৌমাছির চাক বাড়িটি অন্য সকল দিকে ঘিরে থাকলেও বাড়ির সামানে অংশে কোন বাসা বাধেনি। যার ফলে বাড়িতে প্রবেশ করতে সেখানে বসবাস কারীদের কোন সমস্যা হয় না। বাড়ির অপর পাশে কৃষকের গরুর ঘর ও রান্না ঘরের চার পাশ জাল দিয়ে ডেকে দেওয়া হয়েছে মৌমাছির জন্য।
সরেজমিনে বাগবাড়ি শিমুলিয়া গ্রামে কৃষক আব্দুল খালেকের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মৌ মৌ গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে উড়ছে মৌমাছির দল। একটি দুটি নয়, ১৫টি মৌমাছির চাক রয়েছে বাড়িটিতে। বাড়ি ও বাড়ির চার পাশে মৌমাছির বাসা থাকার কারণে বাড়িটি সৌন্দর্যের একটি অংশ হয়ে দাড়িয়েছে। গত ৬ বছর ধরে বাড়িটিতে মৌমাছি এভাবেই বাসা বাঁধে আসছে।
স্থানীয় কয়েকজন এলাকাবাসী জানায়, কয়েক বছর ধরে কৃষকের বাড়িটিতে ২৫ থেকে ৩০টি মৌমাছির চাক থাকলেও কারো কোন ক্ষতি করে না। এবার রয়েছে ১৫টি মৌচাক। বাড়ির মালিকও মৌচাকগুলো দেখে রাখে। প্রতি বছর এসব মৌচাক থেকে সংগ্রহ করা মধু ১ লক্ষ টাকায় বিক্রি করা হয়। বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ আসে এই মৌমাছির চাক দেখার জন্য।
তবে গত বছর এক ব্যক্তি মৌ চাক দেখতে এসে ফ্লাস জ্বালিয়ে ছবি তুলতে গেলে মৌ মাছিরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ও বাড়ির গরুগুলোকে আক্রমন করে। ছবি তুলতে যাওয়া ব্যক্তি সে সময় মৌ মাছির কামড় খেয়ে দ্রৌরে পালিয়ে গেলেও গরু গুলোকে কামড় থেকে বাচাতে গিয়ে মৌমাছির কামড়ে অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল কৃষক খালেককে। তার পর থেকে মৌচাক দেখতে আসা মানুষদের নিরাপদ দুরত্বে থেকে ও মোবাইল বা ক্যামেরায় ফ্লাস বন্ধ রেখে ছবি তুলতে বলে বাড়ির লোকজন।
বাড়ির মালিক মো: আব্দুল খালেক জানায়, গত ৬ বছর ধরে মৌমাছিরা বাসা বাধে তার বাড়িতে। বছরের কয়েক মাস ২৫ থেকে ৩০টি মৌচাক থাকে তার বাড়িতে। তবে এবার রয়েছে ১৫ টি। প্রতি বছর মৌচাক থেকে ৪ মণের মতো মধু সংগ্রহ করা গেলেও এপর্যন্ত এবার প্রায় ১ মনের মতো মধু সংগ্রহ করা হয়েছে।
মন্তব্য ( ০)