• সমগ্র বাংলা
  • লিড নিউজ

ছেলের লাশ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রেখে মেম্বার পদে মায়ের প্রচারণা!

  • সমগ্র বাংলা
  • লিড নিউজ
  • ২৬ নভেম্বর, ২০২১ ১৯:০২:২৬

ছবিঃ সিএনআই

নিউজ ডেস্কঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ছেলের মরদেহ বালু দিয়ে ঢেকে রেখে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন বাবা-মাসহ পরিবারের লোকজন। এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে উপজেলার নারিনা ইউনিয়নে। শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে করিম (১৮) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় বাবা-মাসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার নারিনা ইউনিয়নের পূর্ব পাড়ায় সংরক্ষিত নারী মেম্বার প্রার্থী করুনা বেগম ও তার স্বামী আলহাজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে করে শাহজাদপুর থানা পুলিশ। পরে জানা যায়, মারা যাওয়া করিম তাদেরই সন্তান।

শাহজাদপুর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নিহতের বাবা-মা জানান, তাদের মেজে ছেলে করিমের মরদেহ বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে বালি দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। ছেলের মৃত্যুর বিষয়ে তারা বলেন, করিম দীর্ঘদিন ধরে ড্যান্ডিসহ বিভিন্ন মাদকের নেশায় আসক্ত ছিলেন। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাতে খাওয়া শেষে করিম তার ঘরে শুয়ে পড়েন। পরদিন ভোরে করুনা বেগম তার ছেলে করিমকে ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে ছোট ছেলের ঘর থেকে উঁকি দিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে স্বামী-স্ত্রী মিলে মরদেহ নামিয়ে বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে বালি দিয়ে চাপা দিয়ে রাখেন।

সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ রাখার কারণ হিসেবে এ দম্পতি বলেন, দুই বছর আগে বড় ছেলের স্ত্রী চিঠি লিখে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় তারা প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা খরচ করে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েন। আবার এই আত্মহত্যার খবর মানুষ জানলে এবার তাদের বর্তমান ভিটেবাড়িটিও থাকবে না। তাই তারা মরদেহটি গোপন করে রাখেন।

নিহত করিমের বাবা আলহাজ বলেন, ছেলের মৃত্যুর ঘটনাটি সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তাই শুক্রবার ভোরে তিনি গাড়াদহ ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে গাড়াদহ ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদ মাহমুদ খানকে বলেন, এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য করিমের বাবা-মা, ভাই ও ভাবিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo