• শিশু সংবাদ

পাবনায় শিশু ধর্ষণ ঘটনায়, ধর্ষক ভ্যানচালক আটক

  • শিশু সংবাদ
  • ১৪ নভেম্বর, ২০২১ ১৯:১০:৫৪

প্রতীকী ছবি

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা সুজানগর উপজেলার হাটখালী ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের এক দরিদ্র কৃষকের ৭ বছরে কন্যা শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ধর্ষক ভ্যানচালক কে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ নভেম্বর) দুপুরের দিকে ভুক্তভোগী শিশুর নানা কৃষক মোতাহার প্রামানিক বাদী হয়ে সুজানগর থানাতে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে অভিযুক্ত ভ্যানচালক মজিদ শেখকে (৪২) স্থানীয়রা সকাল ৯টার দিকে কামালপুর বাজার এলাকা থেকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। অভিযুক্ত মজিদ একই এলাকার মৃত ছকির শেখের ছেলে।

শিশুর নানা মোতাহার প্রামানিক বলেন, এই ঘটনাটি ৪/৫ দিন আগে চলতি মাসের ৯ তারিখে হয়েছে। এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলার জন্য আমরা কোনো কিছু করতে পারিনি। বিষয়টি এলাকার অনেকেই জানেন। ঘটনার পরে ধর্ষক আত্মগোপনে ছিল। রবিবার সকালে তাকে পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভ্যান চালানো অবস্থায় আটক করি আমরা। পরে স্থানীয় থানা পুলিশ কে খবর দিলে আটক করে থানাতে নিয়ে আসে। পরে আমরা থানাতে গিয়ে ওই ধর্ষকের নামে মামলা দায়ের করেছি।

তিনি আরও বলেন, ওই দিনে আমি আমাদের এলাকার সোনাতলা বিলে মাছ ধরছিলাম। বাড়ির পাশ দিয়ে ভ্যান চালিয়ে আসছিল ওই ধর্ষক। আমার কাছে আসার জন্য তার ভ্যানে আমার নাতিনকে উঠিয়ে দিয়েছিল ওর নানী। সে আমার শিশু নাতনিকে বিলের মাঝে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি সে তার নানীকে বাড়িতে গিয়ে বলে দেয়। পরে ওর নানী আমাকে বলে। ওর বাবা বাহিরে থাকে মেয়ে ও নাতনি আমাদের কাছে থাকে। আমি ওই ধর্ষকের কঠিন বিচার ও শাস্তি চাই।

পাবনা সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাটি বেশ কয়েকদিন আগে হলেও ১৪ নভেম্বর রবিবার আমাদের কাছে ভুক্তভোগীর নানা লিখিত অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনায় ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত ভ্যানচালক আব্দুল মজিদ শেখকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ওই

দিনের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে আমাদের কাছে। তাকে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ভুক্তভোগীকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পরিবার ও পুলিশের সাথে পাঠানো হয়েছে। এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এসআই বিল্লাল হোসেনকে। তিনি ঘটনার পুরো বিষয় তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিবেন। প্রাথমিকভাবে বলা যায় ওই শিশুটির সাথে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনার প্রতিবেদন আদালতে পেশ করা হবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo