• প্রশাসন

উচ্ছেদ করা হোটেলের খাবার বিলিয়ে দিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

  • প্রশাসন
  • ০৪ অক্টোবর, ২০২১ ০৯:১২:৩৪

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ ফুটপাতের অবৈধ খাবারের দোকান জব্দ করে অসহায়দের মাঝে সেই খাবার বিতরণ করলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আর বিনামূল্যে এই খাবার খেতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন পথচারীরা। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের এমন অভাবনীয় কর্মকাণ্ডকে সাধুবাদ জানিয়েছে উপস্থিত অনেকেই।

রোববার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এমনই ঘটনা ঘটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যস্ততম এলাকা জরুরি বিভাগের সামনের ফুটপাতে।

সারাবছরই এই ফুটপাত দখলে থাকে অবৈধ দোকানদারিদের কাছে। প্রধান সড়ক বন্ধ করে চলে তাদের বেচাকেনা। প্রশাসনও যেন তাদের কাছে অসহায়। প্রায় প্রতিদিনই এদের সাথে প্রশাসনের চলে ইঁদুর বিড়াল খেলা। সদলবলে এসে এসব অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয় প্রায় প্রতিদিনই। তবে অভিযান শেষ করে হাসপাতাল এলাকা ত্যাগ করার পরপরই আবার দখল হয়ে যায় সড়ক ও ফুটপাত।

ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে আজ সন্ধ্যায় হঠাৎ দোকানিদের দৌড়াদৌড়ি লক্ষ্য করা যায়। পরক্ষণেই জানা যায়, ফুটপাতে অবৈধ দোকান উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়েছে।

দেখা যায়, জরুরি বিভাগের রাস্তার বিপরীত পাশের ফুটপাতে কয়েকটি খাবারের দোকান জব্দ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা-১ (উপ-সচিব) মেরীনা নাজনীন। দোকান থেকে নিজ হাতেই প্লেটে খাবার বেড়ে বিতরণ করছেন তিনি।

আর এটি দেখেই পথচারী, রিকশা চালক ও হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসা স্বজনরা দোকানের চারপাশে ভিড় করে বসে।

আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা-১ (উপ-সচিব) মেরীনা নাজনীন বলেন, ঢাকা মেডিকেলের সামনে ফুটপাত দখল করে অবৈধ দোকানপাট করছে এরা। হোটেলও খুলে ফেলেছে। আজ ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান শেষ করে এখান দিয়ে নগর ভবনে যাওয়ার সময় এটি লক্ষ করি।

তিনি বলেন, আমরা ফুটপাতগুলো জনগণের হাঁটার জন্য উন্মুক্ত রাখতে চাই। এজন্য বারবারই এগুলো উচ্ছেদ করি। তারপরও তারা আবার দখল করে ফেলে। আজকে আমি শুধু এই খাবার হোটেলগুলো জব্দ করেছি। আর হোটেলের খাবারগুলো ফেলে না দিয়ে গরিবদের মাঝে বিতরণ করলাম।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে আসলে ফুটপাত দখলের এমন সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। যাদের খেয়ে-পরে বাঁচতে হবে তারা কিন্তু আইন মানতে চায় না। এ কারণে তারা উচ্ছেদের পর আবার এখানে এসে দোকান নিয়ে বসে পড়ে। আমরা দোকানদারদের পুনর্বাসন কর্মসূচি অনেক নিয়েছি, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হকার্স মার্কেটে তাদের দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তারপরও তারা আবার এসে রাস্তায় দোকান নিয়ে বসে যায়।

বিনামূল্যের খাবার খেতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পথচারী বলেন, রোগী নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। খাবার কিনতে এসে দেখি সব দোকানদাররা দৌড়াদৌড়ি করছে। পরে দেখতে পেলাম এখানে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। এজন্য এখান থেকে খাবার নিয়ে খাচ্ছি।

হাজারীবাগ এলাকায় রিকশার গ্যারেজে থাকেন কামরুল হাসান। এই রিকশা চালক বলেন, রিকশা নিয়ে যাত্রীর জন্য এখানেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম খাবার দিচ্ছে। পরে এখান থেকেই ভাত আর মাছ নিয়ে খাচ্ছি। আমার মতো আরও অনেক রিকশা চালকই খাচ্ছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo