• শিক্ষা

স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুলে শিক্ষার্থীরা, বদলে গেছে পরিবেশ

  • শিক্ষা
  • ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৭:৫৭:১৮

ছবিঃ সিএনআই

তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি : মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে বদলে গেছে শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ। দীর্ঘ দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতিতে উৎসবের আমেজে চলছে পাঠদান। এ চিত্র সারাদেশের মতো পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার স্কুলগুলোর। শিক্ষার্থীরাও দীর্ঘ দিন পর সহপাঠিদের সাথে মিলিত হতে পেরে আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠেছে তারা। বিদ্যালয়গুলো আনন্দঘন পরিবেশে পরিণত হয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুলে এসে একে অন্যকেও সচেতন করছে তারা।

সরেজমিনে উপজেলার শালবাহান দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়, শালবাহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কালান্দিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, মাঝিপাড়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায় বিদ্যালয়গুলোতে পুরোদমে মানা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। তাপমাত্রা মাপতে ব্যবহার হচ্ছে থার্মোমিটার, হ্যান্ড স্যানেটাইজার ও মুখে মাস্ক। পরিচ্ছন্ন করা বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণী কক্ষ। তবে বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার চিত্র চোখে পড়েনি।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান শিক্ষকরা জানান, দীর্ঘ দেড় বছরে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আসবাবপত্র, কক্ষগুলোতে মাকড়শা জাল আর আবর্জনায় ভরে গিয়েছিল। সেগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে। আর স্কুল খোলার প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে ছিল ব্যাপক প্রস্তুতি। শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়েছে। শ্রেণি কক্ষে পাঠদানে মানা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। ব্যানারে নো মাস্ক নো স্কুল’ লিখে সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে গেটে। শিক্ষার্থীরা মাস্ক পরে বিদ্যালয়ে আসছে।

শালবাহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাবিয়া ফাহমিদা সেতু জানায়, আমরা মাস্ক পরে বিদ্যালয়ে আসছি। দীর্ঘদিন স্কুলে না আসতে পেরে বদ্ধ ঘরে যেন হাপিয়ে উঠেছিলাম। খুব ভালো লাগছে কলেজে আসতে পেরে। অনেকে জানান, এই দেড় বছরে আমাদের বেশ কয়েকজন সহপাঠীর বিয়ে হয়ে গেছে। স্কুল বন্ধ না থাকলে হয়তো তাদের সঙ্গ পেতাম। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা প্রতিদিন স্কুলে এসে পড়ালেখা করবে এমনও অঙ্গীকার তাদের।

শালবাহান দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক কাবুল জানান, আমার বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান করা হচ্ছে। প্রথম দিন ফুল দিয়ে শিক্ষার্থীদের বরণ করেছি। আর পত্যেক শিক্ষার্থী প্রবেশের সাথে সাথেই তাপমাত্রা মেপে হাতে হ্যান্ড স্যানেটাইজার দেয়া হচ্ছে। যাদের মাস্ক নেই তাদের মাস্ক দেয়া হচ্ছে। আর আমার প্রতিষ্ঠানে আইসোলেশন রুম করা হয়েছে। যদি কোন শিক্ষার্থী হঠাৎ করোনার কোন উপসর্গ ধরা পড়ে, তাহলে আইসোলেশনে এনে দ্রæত চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘আমরা সরকারি নির্দেশনা পেয়ে উপজেলার স্কুলগুলো খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে শিক্ষক, অভিভাবক ও ম্যানিজিং কমিটির সাথে মিটিং করেছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মধ্য স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে। এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo