• বিশেষ প্রতিবেদন

ভেঙ্গে যাচ্ছে বেঁচে থাকার স্বপ্ন

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:৪৯:৪৯

ছবিঃ সিএনআই

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফলে তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও পাকা সড়ক। ভাঙনরোধে একনেকের সভায় ৭১২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোনো কাজ শুরু হয়নি।  অব্যাহত রয়েছে নদী ভাঙ্গন।। ফলে সর্বস্ব হারিয়ে  দিশাহারা হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী।বিলিন হয়েছে কয়েকশ’ একর ফসলি জমিসহ শতাধিক বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ভাঙ্গন কবলিত এসব মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তার পাশে ঝুপড়ি ঘরে। সরজমিন দেখা গেছে, ধুলিয়া লঞ্চঘাট থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত শতাধিক বাড়িঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কয়েকশ’ একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের হাত থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। নতুন বাজার এলাকায় কয়েকটি বাড়ি ভাঙ্গন  থেকে রক্ষা করতে অনত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও বিলীন হওয়ার পথে ভাষা সৈনিক  সৈয়দ আশরাফের সমাধিস্থল, একটি মাদ্রাসা, একটি মসজিদ ও একটি সরকারি প্রাইমারি স্কুল,সহ প্রায় ২ শতাধিক বাড়িঘর। ইতিমধ্যে শতাধিক পরিবার ভাঙনের শিকার হয়ে আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তার পাশে। ঝুপড়ি ঘর তুলে তার মধ্যে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। একদিকে ভাঙছে নদী, অন্য দিকে কাঁদছে মানুষ।  

ধুলিয়া নদীভাঙন রোধ কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা পরিষদ সদস্য জহির উদ্দিন বাবর বলেন, তেঁতুলিয়ার ভাঙনে নিঃস্ব হয়েছে শত শত’ মানুষ। সব হারিয়ে ঠাঁই হয়েছে রাস্তার পাশে।  ভাঙন রোধে প্রকল্প পাস হলেও  অদৃশ্য কারণে এক বছরেও কাজ শুরু হয়নি।  পটুয়াখালী জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.  হালিম সালেহী সাংবাদিকদের বলেন, তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙন রোধে টেন্ডার হয়েছে। কোনো ধরনের জটিলতার সৃষ্টি না হলে চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ভাঙ্গন রোধে কাজ শুরু হবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo