• অর্থনীতি
  • লিড নিউজ

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে কফি চাষে

  • অর্থনীতি
  • লিড নিউজ
  • ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৫:৫২:২৫

ছবিঃ সিএনআই

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ কফির নাম শুনলে মনে আয়েশি কিছু। যে চাষাবাদের কথা এলেও আসেনা আমাদের মত দেশের নাম।দ্বিতীয় বৃহত্তম উষ্ণ কোমল পানীয় পণ্য কফি দেশের পার্বত্য পাহাড়ি জনপদকে ছাপিয়ে নীলফামারী কিশারগঞ্জের কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে সম্ভবনাময় ফসল কফি চাষে। স্বল্প পুঁজি আর এ উপজেলার মাটি কফি চাষে উপযোগী হওয়ায়
বাণিজ্যিক ভাবে এর চাষাবাদ এখন সময়ের দাবি। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা থেকে কফি শিল্প গড়ে তোলার স্বপ্ন বুনছেন তারা। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারী-বেসরকারী পূষ্ঠপোষকতাসহ কফি প্রক্রিয়াকরণ যন্ত্র স্থাপন করা হলে কফি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।  

সরজমিনে জানা গেছে, উপজেলা সদরের মুন্সিপাড়া গ্রামের বিসমিল্লাহ নার্সারির মালিক আব্দুর কুদ্দুসের নিজ উদ্যোগে ২০১৪ সালে এ উপজেলায় কফি চাষের গোড়া পত্তন ঘটে। তিনি গত ৭ বছর আগে কক্সবাজারের জাহানারা গ্রীণ এগ্রো ফার্ম থেকে ১৫০টি এরাবিয়ান কফির চারা সংগ্রহ করে ২ শতাংশ জমিতে বাণিজ্যিক ভাবে শুরু করেন এর চাষাবাদ। শুরুর দিকে তিনি উড়ুন-গাইনে বাড়িতে কফি প্রক্রিয়াজাত করে ঢাকায় সরবরাহ করে সফলতা অর্জনের পর বর্তমানে তিনি নিজের কফি বাগান থেকে বীজ সংরক্ষণ, চারা উৎপাদন বিপণনের মাধ্যমে স্থানীয় উপজেলা ছাড়াও বিভিন্ন জেলা শহর গুলোতে সরবরাহ করে বছরে ৩ থেকে ৪লাখ টাকা আয় করছেন। স্বপ্ন নয়, সফলতা সিড়ি বেয়ে হাটছেন তিনি। উপজেলার পুটিমারী কাচারী পাড়া গ্রামের সুলতান আলী কফি চাষের সুবিধা তুলে ধরে বলেন, অন্যান্য ফসলের চেয়ে কফি চাষে অধিক লাভ। পরিচর্যাসহ রোগ বালাই কম, গরু ছাগলে খায় না এবং বেড়া দেওয়া লাগেনা। চারা রোপণের ২বছরে ফলন পাওয়া যায়। আর স্বাদে গন্ধ অতুলনীয়। যেখানে ১কেজি চা পাতা ৩শত টাকা সেখানে ১ কেজি কফি বিক্রি করা যায় ৪ হাজার টাকা। 

তিনি ১০ শতাংশ জমিতে কফি চাষ করে ভাল সফলতা পেয়েছেন। ওই সৌখিন প্রিয় কৃষকদের পাশাপাশি উপজেলা কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্বাবধানে কৃষক পযার্য়ে উদ্ধকরণের মধ্যে দিয়ে মাগুড়া, গাড়াগ্রাম, রণচন্ডীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ১একর জমিতে তাদের সরবরাহকৃত ভিয়েতনামের উচ্চ ফলনশীল কফিয়া রোবাষ্টা জাতের ৬টি কফি বাগান গড়ে উঠেছে। উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, এ অঞ্চলের মাটি কফি চাষে খুবেই উপযোগী। তবে কফি প্রক্রিয়াকরণ যন্ত্র চালু হলে কৃষক পর্যায়ে কফি চাষে আরো আগ্রহী হয়ে উঠবে। আর রপ্তানি খাত একটি স্বর্ণময়ী ফসলে পরিণত হবে। এতে কৃষি অর্থনীতি সমৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মসংস্থান বাড়বে। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo