• বিশেষ প্রতিবেদন

বাঁচতে চায় ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত শিশু আমির হামজা

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ২৫ আগস্ট, ২০২১ ১৪:১৫:০৮

ফাইল ছবি

দিনাজপুর  প্রতিনিধিঃ আমির হামজা। বয়স মাত্র (১৩)বছর। দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার আলিহাট ইউনিয়নের নিভৃত পল্লী ধাওয়নশীপুর গ্রামে মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করে। সে পার্শ্ববর্তী কোকতাড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত। তার বাবা আশরাফুল ইসলাম (২৮) কৃষি কাজ করে কোন রকমে সংসার চালায়। মা জেসমিন বেগম একজন গৃহিণী। জন্মের পরে বাবা মা  সন্তানের আদর করে নাম রাখেন আমির হামজা। স্বপ্ন দেখেছিলেন ছেলে বড় হয়ে সংসারের দুঃখ কষ্ট দুর করবে। গড়ে উঠবে সুখের সংসার। কিন্তু আদরের সেই ছেলে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ায় বাবা মার সেই স্বপ্ন ভেঙে গেছে। এখন ছেলেকে বাঁচতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাবা আশরাফুল ইসলাম। চিকিৎসার খরচ বহন করতে হিমশিম খাচ্ছে তার বাবা। এখন ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে চোখের দু ফোটা জ্বল ফেলা ছাড়া কিছুই করার নেই বাবা আশরাফুল ইসলামের। 

আমির হামজার বাবা আশরাফুল ইসলাম  বলেন, আমার সন্তান আমির হামজার আজ থেকে প্রায় সাত বছর আগে গলায় একটা টিউমার দেখা দেয়। পরে রাজশাহীতে একটি বে-সরকারি ক্লিনিকে অপারেশন করে চিকিৎসা করা হয়। দুই বছর সে খুব ভালো ছিলো। তারপরে হঠাৎ করে আবারও সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ছেলের চিকিৎসার জন্য প্রথমে নিয়ে যায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তার চিকিৎসা চালায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আমার ছেলের গলার আক্রান্ত স্থানে মাংস কেটে পরীক্ষা নিরিক্ষার পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ছেলেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান চিকিৎসা করা অবস্থায় গত প্রায় ছয় মাস আগে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ছেলের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে তার শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়েছে বলে জানান। নিরুপায় হয়ে ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছি। এখন বর্তমানে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াঘাট উপজেলার ওসমানপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে সপ্তাহে দুই থেকে তিন ব্যাগ রক্ত দিয়ে আবার বাড়িতে নিয়ে আসি। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রক্ত দিচ্ছি, স্যালাইন ও বিভিন্ন ঔষধ চলছে। দীর্ঘ দিন থেকে ছেলের চিকিৎসার খরচ বহন করায় এখন আমার পক্ষে চিকিৎসার খরচ বহন করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে। আমার যেটুকু সম্বল ছিলো ছেলের চিকিৎসার কাজে খরচ করে আমি এখন নিঃশ্ব হয়ে গেছি। এমন অবস্থায় চিকিৎসার জন্য সরকারি সহযোগিতার আশা ছাড়া আমার আর কিছুই করার নেই। 

স্থানীয় বাসিন্দা সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী  বলেন,আমির হামজা অনেক ভালো ছেলে ও মেধাবী ছাত্র।আমির হামজার বাবা অনেন গরীব মানুষ তিনি টাকার অভাবে ছেলের চিকিৎসা করতে পারছেন না। সমাজের ধনী ব্যক্তিরা যদি তার পাশে দাঁড়াতো তাহলে হইতো সে ভালো চিকিৎসা করাতে পারতো।

আলীহাট ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম ঢাকা পোস্টকে বলেন,আমির হামজা বেশকিছু দিন থেকে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত আমরা শুনেছি তাকে সরকারি বিভিন্ন সহযোগিতা দেবার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে। 

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নুর এ আলম  বলেন,আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে তাকে কিছু অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করবো এবং তিনি যদি সমাজসেবা অফিসের নির্ধারিত ফরমে সরকারি অনুদানের জন্য আবেদন করেন তাহলে  চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত ক্যান্সার রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

আমির হামজাকে সাহায্য পাঠাতে পারেনঃ- ০১৩১৮-১০০৪৭০(বিকাশ ও নগদ) নাম্বার।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo