• জাতীয়

দুই বছরে ৬৫ বার বিদেশ যান গুলিস্তানের এই কাপড় ব্যবসায়ী!

  • জাতীয়
  • ২৬ জুলাই, ২০২১ ১৬:১০:৪১

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক যাত্রীর কাছ থেকে ১১ লাখ ৬৫ হাজার সৌদি রিয়েল জব্দ করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এগুলো পাচারের উদ্দেশ্যে মিশরে নেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে এপিবিএন। 

এপিবিএন জানায়, এ ঘটনায় আটক জাহাঙ্গীর গাজী গুলিস্তানের একজন কাপড় ব্যবসায়ী। দুই বছর ধরে তিনি মুদ্রাপাচারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। এ সময়ে তিনি ৬৫ বার বিদেশ গিয়েছেন। 

সোমবার (২৬ জুলাই) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান এপিবিএন'র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জিয়াউল হক।

তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৬টায় তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তুরস্কের ইস্তাম্বুল হয়ে মিশরে যাওয়ার কথা ছিল জাহাঙ্গীরের। ফ্লাইটে ওঠার আগে সর্বশেষ চেক পয়েন্টে তাকে আটক করা হয়। আটকের পর তাকে চ্যালেঞ্জ করে এপিবিএন। তার কাছে বৈদেশিক মুদ্রা আছে কি না জানতে চাইলে সে অস্বীকার করে। পরে শরীরে তল্লাশি করে ৫০ হাজার রিয়েল উদ্ধার করা হয়। 

তাকে স্ক্যানিং করে শরীর ও ব্যাগ থেকে ১১ লাখ ৬৫ হাজার সৌদি রিয়েলসহ ৮টি দেশের মুদ্রা পাওয়া যায়। তিনি এসব পাচার করার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় আমরা তাকে এপিবিএনের বিমানবন্দরের কার্যালয়ে নিয়ে আসি। সেখানে কাস্টমসসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তাকে ভালোভাবে চেক করা হয়। এরপর তার কাছে ২ কোটি ৫২ লাখ টাকা মূল্যমানের মুদ্রা উদ্ধার করা হয়, বলেন মো. জিয়াউল হক।

জাহাঙ্গীরের পরিচয় সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাহাঙ্গীর জানায়, সে রাজধানীর গুলিস্তানে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। গত দুই বছর ধরে ওই ব্যবসা বাদ দিয়ে অর্থপাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। 

এপিবিএন'র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জিয়াউল হক বলেন, জাহাঙ্গীরের পাসপোর্ট যাচাই করে এপিবিএন দেখেছে তার পাসপোর্টে মোট পাঁচটি দেশের ভিসা ও ইমিগ্রেশনের ১২৫টি সিল লাগানো আছে। দুই বছরে তিনি ৬৫ বার বিদেশে গিয়েছেন।

জিয়াউল হক জানান, জাহাঙ্গীর প্রবাসীদের কাছ থেকে রিয়েল সংগ্রহ করে এবং তা একত্রিত করে পাচার করতেন। এই প্রক্রিয়ায় বিদেশে মুদ্রা গেলে বাংলাদেশ সরকার কোনো রাজস্ব পায় না। কমার্শিয়াল যাত্রীদের লাগেজ বহনের ক্ষেত্রে সরকার কিছু সুবিধা দেয়। জাহাঙ্গীর সেই সুযোগ নিয়েও হুট করে মুদ্রাপাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান।

পাচারের এই টাকা কী কাজে ব্যবহার হতো, জানতে চাইলে জিয়াউল হক বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, মুদ্রাগুলো মিশরে যাওয়ার কথা ছিল। পরে সেখানে গিয়ে বাল্ক অ্যামাউন্টে সোনা কেনা হতো। সেই সোনাগুলো আবার বাংলাদেশেও আসতে পারতো। এতে দুই দিকেই বাংলাদেশ সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হতো। একদিকে টাকা পাচার হচ্ছে, অন্যদিকে অবৈধভাবে ট্যাক্স ছাড়া স্বর্ণ বাংলাদেশে পাচার হতো।

জাহাঙ্গীরকে বর্তমানে এপিবিএন কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। কাস্টমস বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo