• উদ্যোক্তা খবর

আনার চাষ করে সফল চুয়াডাঙ্গার তরুন সাদ্দাম হোসেন

  • উদ্যোক্তা খবর
  • ১৩ জুলাই, ২০২১ ১০:৪৩:৫৫

ছবিঃ সিএনআই

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গা জেলার কৃষকরা ইতোমধ্যেই  বিভিন্ন দেশী-বিদেশী ফলের চাষ করে সারা দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ জেলার কৃষি জগতে নতুন নতুন ফলের বাগান করে  ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এক তরুন কৃষি উদ্যোক্তা সাদ্দাম হোসেন। 

মাত্র ৮ মাস আগে জীবননগর উপজেলার রায়পুর গ্রামে  আড়াই বিঘা জমিতে ২৬০ টি চারা রোপনের মাধ্যমে তিনি আনার বাগান শুরু করেন। এই বাগান করতে তার মোট খরচ হয়েছে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। চলতি বছরে  তিনি এখান থেকে ২ লক্ষ ষাট হাজার টাকা আয় করবেন বলে জানান তরুন এই কৃষি উদ্যোক্তা সাদ্দাম হোসেনের ভাই হৃদয় মোল্লা।

বাংলাদেশের মাটিতে বিদেশী ফল আনারের চাষ হচ্ছে  এ সাফল্য দেখতে বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভীড় করছেন তার বাগানে। তার আনার বাগানে গিয়ে দেখা মেলা তরুন কৃষকরাও এ চাষে আগ্রাহী।

রায়পুর ইউনিয়ন ইউনিয়নের -শ্রী সুমন বিশ্বাস, জীবননগর সীমান্ত ইউনিয়নের মেদিনীপুর গ্রামের রানা মিয়া ও মোঃ- মিরাজ মন্ডল ইতোমধ্যে এচাষের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে। তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে  অল্প সময়ে এ চাষ লাভজনক। এ চাষ সম্প্রসারনের মাধ্যমে বেকার যুবকদের আত্মনির্ভরশীল হওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করেন। 

শুধু তাই নয় এখানে কর্মরত ফজলুল করিম জানান সাদ্দাম হোসেনের ১১০ বিঘা জমিতে বিভিন্ন ফলের বাগানে  কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে প্রায় ৩০ জন বেকার যুবকের। এখান থেকে কাজ করে সংসার চালানোর পাশাপাশি এরকম বাগান করার প্রতি তারাও আগ্রহী। 

তরুন কৃষি উদ্যোক্তা সাদ্দাম হোসেন হোসেনের পিতা রুহুল কুদ্দুস মোল্লা  জানান ২০০৭ সাল থেকে তার দুই হৃদয় মোল্লা ও সাদ্দাম হোসেন  মোল্লা লেখাপড়ার পাশাপাশি দেশী বিদেশী ফল চাষের প্রতি তিনি বেশ আগ্রহী ছিলেন। এজন্য বাড়ির পাশে এখন একটি নাসার্রীও প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তার ১০ বিঘা জমিতে একটি নার্সারী ও ১১০ বিঘা জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফলের বাগান রয়েছে। বর্তমানে ফলচাষ ও চারা বিক্রি করে  মোট  আয় করেছেন প্রায় দেড় কোটি টাকা। 

বাংলাদেশের মাটি এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আনারের  চাষ সম্প্রসারন সম্ভব বলে মনে করেন চুয়াডাঙ্গা  জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুফি মোঃ রফিকুজ্জামান। তিনি জানান জেলার কৃষি হিসাব মতে জেলায় বানিজ্যিক ভাবে এজেলায়  সাড়ে ৫ বিঘা জমিতে আনারের চাষ শুরু হয়েছে। তবে ফলের গুনগতমান ও মিষ্টতা ভালো হওয়ায় এ চাষ সম্প্রসারনের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন কৃষি উদ্যোক্তাদের।

 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo