• আন্তর্জাতিক

মঙ্গলে নেমে এবার কাপড়ও কাচতে পারবে মানুষ!

  • আন্তর্জাতিক
  • ২৩ জুন, ২০২১ ১৭:১৫:৪৬

ছবিঃ সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ নভোচারীরা মহাকাশে তাদের কাপড় পরিষ্কার করেন কীভাবে? উত্তরটা একেবারে সহজ- তারা পরিষ্কারই করে না। অন্তর্বাস থেকে শুরু করে নভোচারীরা যত কাপড় ব্যবহার করেন এর সবগুলো তারা ততদিনই পরে থাকেন যতদিন পর্যন্ত সেটা পরা যায়। অর্থাৎ নোংরা-দুর্গন্ধে অসহ্য না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত তারা একটি কাপড় ব্যবহার করেন। তারপর সেটা ফেলে দেন।  

এখানেই পরিবর্তনটা আনতে চায় নাসা। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে যদি সেটা সম্ভব নাও হয়, চাঁদ বা মঙ্গল গ্রহের ক্ষেত্রে এ পরিবর্তন আনতে চায় নাসা। তারা প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বলের সাথে মিলে একটা উপায় বের করার চেষ্টা করছে যাতে মহাকাশে কাপড় ধুয়ে পরিষ্কার করা যায়, আর তা পৃথিবীর মতোই কয়েক মাস বা বছর ধরে পরা যায়। 

প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল বলছে, এ বছরের শেষ দিকে তারা পরীক্ষামূলকভাবে টাইড ডিটারজেন্ট পাঠাবে মহাকাশ স্টেশনে।  

মহাকাশে কাপড় পরিষ্কারের বিষয়টা কোনো ছোট সমস্যা না, আর যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র ও আরও কিছু দেশ এরইমধ্যে চাঁদ ও মঙ্গলে ঘাঁটি গড়ার পরিকল্পনা করছে, তাই এ বিষয়টাকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। 

রকেটের ভেতরে জায়গাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই সেটা কাপড় দিয়ে নষ্ট করার যৌক্তিকতা দেখে না নাসা, যদি কাপড়গুলো পরিষ্কারের কোনো উপায় থাকে। 

মহাকাশ স্টেশনে নভোচারীরা প্রতিদিন দু’ঘণ্টা করে ব্যায়াম করেন। ফলে তাদের পরনের পোশাক খুব অল্প সময়েই ঘামে দুর্গন্ধে পরার অযোগ্য হয়ে পড়ে। নভোচারীদের টিশার্ট, শর্টস ও মোজা এত বেশি নোংরা হয় যে প্রতি সপ্তাহে তাদের নতুন পোশাকের প্রয়োজন হয়। 

সমস্যার সমাধানে নাসা বিশেষ অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল পোশাকের চিন্তাও করেছে। কিন্তু এটা দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমাধান নয়।  

এখন প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল পরীক্ষামূলক বিশেষ উপায়ে তৈরি যে ডিটারজেন্ট মহাকাশে পাঠাচ্ছে সেখানে বিজ্ঞানীরা মূলত দেখবেন ছয় মাস ভরহীনতার পর এনজাইম ও অন্যান্য উপকরণগুলো কতটা কাজ করে। এরপর আগামী বছর মে মাসে কাপড়ের দাগ তোলার জন্য বিশেষ এক ধরনের পেন পাঠানো হবে নভচারীদের কাছে। 

তৈরি হচ্ছে মহাকাশে ব্যবহার উপযোগী ওয়াশিং মেশিন 
বিশেষ ডিটারজেন্টের পাশপাশি প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল একটি বিশেষ ওয়াশার-ড্রায়ার কম্বো তৈরি করছে যেটা চাঁদ বা মঙ্গল গ্রহে ব্যবহারের জন্য বিশেষ উপযোগী করে তৈরি করা হচ্ছে। সামান্য ডিটারজেন্ট ও পানি ব্যবহার করে এই ওয়াশারে কাপড় পরিষ্কার করা যাবে। পৃথিবীর শুষ্ক অঞ্চলগুলোতে এ ধরনের মেশিন বিশেষভাবে কার্যকর হবে। 

এ মেশিন ব্যবহারে যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে তার মধ্যে অন্যতম হলো এই ওয়াশারে ব্যবহৃত পানি আবার ব্যবহার উপযোগী করে তুলতে হবে। মহাকাশ স্টেশনগুলোতে মূত্র ও ঘাম পানি হিসেবে পুনর্ব্যবহার করা হয়ে থাকে।  

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo